অনেকেই নানান অসুবিধার কারনে নিজেরা রেশন তুলতে যেতে পারেন না। অন্যজনের মাধ্যমে রেশন নেন তাঁরা। এবার থেকে পরিবারের সদস্যকেই রেশন আনতে যেতে হবে। ইতিমধ্যেই রেশন দোকানগুলিতে এজন্য বিশেষ মেশিন বসিয়েছে খাদ্য দফতর। সেখানে গিয়ে সবাইকে আঙুলের ছাপ দিয়ে আসতে হবে। সেই তথ্য খাদ্য দফতরের কাছে থাকবে। তাতে কে রেশন নিলেন আর কে নিলেন না তা ধরা যাবে সহজেই। এর ফলে রেশনের সামগ্রী পাচার বন্ধ হবে। প্রয়োজনে রেশন ডিলারের কমিশন বাড়ানোর ব্যবস্থা করবে সরকার।
advertisement
খাদ্যমন্ত্রী জানান,রাজ্যে ২০ লক্ষ মানুষের রেশন না নেবেন না জানিয়ে শুধু কার্ড পেতে আবেদন জানিয়েছেন। এছাড়াও ৩৩ লক্ষ বাসিন্দা নতুন কার্ডের আবেদন করেছেন। সরাসরি ডাক যোগে তাঁদের বাড়িতে ডিজিটাল রেশন কার্ড পৌঁছে যাবে।
গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছিল, অনেকেই ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদন করেও পাননি। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্য দফতরের খাতায় দেখা যাচ্ছে সবাই কার্ড পেয়েছেন। অথচ বাস্তবে তাঁদের অনেকের কাছেই কার্ড পৌঁছয়নি। সেসব কার্ড হয়তো প্রশাসনের কাছে বা জনপ্রতিনিধিদের কাছে পড়ে রয়েছে। তাই আর কারও মাধ্যমে নয়, সরাসরি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে কার্ড পাঠানো হবে।
এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে জোর কদমে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা চলছে। এ প্রসঙ্গে খাদ্য মন্ত্রী বলেন, কৃষক বন্ধু প্রকল্পে চাষ করতে টাকা দিচ্ছে সরকার। সেই প্রকল্পে নথিভূক্ত কৃষকদের নামের তালিকা খাদ্য দফতরের কাছে রয়েছে। এরফলে ধান কেনায় ফড়েরাজ সম্পূর্ণ বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।