কিন্তু এই জৌলুসময় রথে অবহেলিত থেকে গেছে জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি। একটা সময় পর্যন্ত রীতি মেনে রথের দিন কুন্ডুচৌধুরী বাড়ি থেকে প্রভু জগন্নাথ এবং নারায়ন রথ ও পালকিতে চোড়ে সরস্বতী নদীর পাড় ধরে পৌঁছত মাসির বাড়ি। ৯ দিন মাসির বাড়িতে জগন্নাথ থাকত ধুমধাম করে পুজোর আয়োজন হত সেখানে।
advertisement
কিন্তু সেসব এখন অতীত, প্রায় ৩০ বছর হল, আর মাসির বাড়ি আসেনা জগন্নাথ। মাসির বাড়ির অবস্থা জরাজীর্ণ। ইট- চুন – সুরকি\’র দেওয়াল থেকে খসে পড়ছে ইট, ভেঙে পড়ছে চাঙর। আর দেখভাল হয়না মাসির বাড়ি\’র। তবে আজও ভাঙা জরাজীর্ণ মাসির বাড়িতেই জগন্নাথের নামে প্রতিদিন সেবা দিয়ে থাকেন সেবাইত মিলনময়ী মাজি। রথ এলেই তাঁর মন হয়ে ওঠে ভারাক্রান্ত, মনে পড়ে সেই সময়ের রথের আয়োজন।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় মানুষ এবং সেবাইত গণ জানান জানান, একসময়ের জগন্নাথ ও নারায়ণ আসত কত মানুষের সমাগম হত, কাঁসর ঘণ্টা বাজিয়ে পুজো হত। কিন্তু এখন রথ এলেও আর জগন্নাথ আসে না মাসির বাড়ি। সোজা রথ থেকে উল্টোরথ অন্ধকারেই থেকে যায় মাসির বাড়ি।
এপ্রসঙ্গে কুন্ডুচৌধুরী বাড়ির সদস্য বসন কুণ্ডুচৌধুরী জানান, কষ্ট হয় জগন্নাথ দেব মাসির বাড়ি পৌঁছতে পারেন না বলে। গত প্রায় ৩০-৩৫ বছর জগন্নাথ মাসির বাড়ি যায় না। সকলের একমত এবং অর্থনৈতিক সমস্যার কারণেই মাসির বাড়ি নতুন করে তৈরি করা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় মানুষ আশা করছেন, বাড়িটি আবারও মেরামতি করে জগন্নাথ আসবে মাসির বাড়ি। আবারো রথের আগে থেকে সেজে উঠবে মাসির বাড়ি, জগন্নাথ আসাকে কেন্দ্র করে বেজে উঠবে কাঁসর-ঘন্টা শঙ্খধ্বনি।
রাকেশ মাইতি