শ্রীচৈতন্যদেব রামকৃষ্ণ থেকে শুরু করে বহু মনীষী এসেছেন এখানে। বঙ্কিমচন্দ্রের ‘রাধারানী’ গল্পে মাহেশের রথের মেলার উল্লেখ আছে। ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীন এই রথযাত্রা উৎসব। আজও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পুরীর পরেই নাম আছে মাহেশের। এত বছর পরেও আজও একই রকম ভাবে ভক্তদের উন্মাদনা দেখা যায়। রথযাত্রার সাক্ষী হতে হাজার হাজার মানুষ রাজপথে ভিড় জমান। যদিও করোনার কারণে গত দু’বছর বন্ধ ছিল এই রথযাত্রা।
advertisement
আরও পড়ুন- রাতে ঘুম আসে না? বুঝতে হবে অনিদ্রার ধরন, প্রতিকারও রইল হাতের নাগালে
রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতরের পক্ষ থেকে মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সংস্কার থেকে শুরু করে বেশ কিছু কাজ করা হয়েছে। মাহেশের জগন্নাথ দেবের মন্দির, রথকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো কাজও চলছে। নাটমন্দির-সহ মন্দিরগুলি সংস্কার হয়েছে। ভোগের ঘর জগন্নাথ মন্দিরের কাছে তোরণ তৈরি করা হয়েছে। সরকারি টাকায় জগন্নাথ মন্দিরের সংস্কারের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন-মাত্র কয়েক দিনেই পেটের চর্বি কমাতে চান? পছন্দের কফিতে এই দুই জিনিস মিশিয়ে দেখুন তো একবার
অনলাইনে এবার দেওয়া যাবে পুজো। ভিডিও কলে দেখা যাবে বিগ্রহ। অনলাইনে দেওয়া যাবে ভোগ অর্ডার। ভোগের জন্য ২ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। জগন্নাথ মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী জানিয়েছেন, ‘‘কেউ পুজো দেওয়ার জন্য অর্থ প্রদান করতে চাইলে অনলাইনে করতে পারেন। তাঁদের ভোগ কুরিয়ার করে দেওয়া হবে।’’ এ ছাড়া পুজো দিয়ে নিজেরাও ভোগ সংগ্রহ করতে পারবেন ভক্তরা।