কাঠের জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা নিয়ে শিল্পীরা রথযাত্রার দুদিন আগে পাড়ি দেন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। লক্ষ্মীলাভের আশায় সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন গ্রামের শিল্পীরা। এই প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের নতুনগ্রামের শিল্পী কেশব ভাস্কর বলেন, “আমরা এখন শুধু কাঠের জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা তৈরি করি। গ্রামের ঘরে ঘরে পুতুল তৈরি হচ্ছে। গ্রামজুড়ে হাজার হাজার পুতুল তৈরি হচ্ছে এখন। আমরা চন্দননগর, কলকাতা, নাগেরবাজার, শ্রীরামপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় যাব পুতুল বিক্রির জন্য।”
advertisement
আরও পড়ুন: কোন নম্বরে ফোন করলে মিলবে আইনি সহায়তা! স্কুলে এসে পড়ুয়াদের জানিয়ে গেলেন খোদ বিচারক
সাধারণত বর্ধমানের নতুনগ্রামে শিল্পীরা কাঠের পেঁচা, গৌর নিতাই, ফার্নিচার সহ বিভিন্ন আধুনিক জিনিসও তৈরি করেন। বর্তমানে ভাল কদর বেড়েছে এই গ্রামের শিল্পীদের। এখনকার তৈরি জিনিস এখন বিদেশেও পাড়ি দেয়। আবার অনেকসময় বিদেশীরাও আসেন বর্ধমানের এই গ্রামে। তবে বছরের অন্যান্য সময় শিল্পীরা বিভিন্ন জিনিস তৈরি করলেও, রথযাত্রার আগের এই সময়টায় ব্যস্ত থাকেন জগন্নাথ মূর্তি তৈরিতে। ছোট থেকে বড় নানা মাপের মূর্তি তৈরি করেন শিল্পীরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই বিষয়ে নতুনগ্রামের মহিলা শিল্পী পূর্ণিমা ভাস্কর বলেন, “সংসারের কাজ সামলানোর পরেও এই পুতুল তৈরি করতে হয়। রথের সময় বিক্রিও ভাল হয়, আমাদেরও ভালই উপার্জন হয়। রথে চাহিদা ভালই থাকে এই পুতুলের। বহু বছর ধরে এই কাজ করছি।” ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকার বেশি দামেরও মূর্তি তৈরি করেন শিল্পীরা। জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা তিনটে মূর্তি সেট হিসেবেও বিক্রি করা হয়। সবমিলিয়ে বর্তমানে ব্যস্ততার সঙ্গেই দিন কাটছে শিল্পীদের। রথযাত্রার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী