স্নান যাত্রার পর অবসর কাল কাটিয়ে রবিবার নবযৌবন লাভ করেন প্রভু জগন্নাথ। ধর্মীয় ঐতিহ্য ও প্রথা মেনে গতকাল বন্ধ গর্ভগৃহের দরজা খুলে মন্দির দালানে ভক্তদের দর্শন দেন জগন্নাথ। মাহেশের রথযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই এই সমস্ত ধর্মীয় আচার-আচরণ দেখার জন্য ভিড় বাড়তে শুরু করে। যা রথের রশিতে টান পড়ার সময় রেকর্ড জায়গায় গিয়ে পৌঁছয়।
advertisement
আরও পড়ুন: দোকান থেকে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন কর্মচারী, ছুটে এসে উড়িয়ে দিল বাইক!
বিকেল পাঁচটা নাগাদ জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রাকে রথে তোলার পর প্রথম রথের রশিতে টান পড়ে। লক্ষাধিক ভক্ত সমাগমের মধ্য দিয়ে ৬২৮ বছরের মাহেশের রথযাত্রা এগিয়ে যায় মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে।
স্বপ্নাদেশে পাওয়া নিমকাঠ দিয়ে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি ছয় শতকের বেশি সময় ধরে পূজিত হয়ে আসছে মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে। খিচুড়ি, অন্ন, পায়েস এই তিন নিয়ে মাহেশ। পুরীর পর দেশের দ্বিতীয় প্রাচীন রথযাত্রা হল হুগলির শ্রীরামপুরের মাহেশ রথযাত্রা। মার্টিন বার্ন কোম্পানির তৈরি লোহার রথের বয়স ১৩৮ বছর। এটাই বর্তমানে ব্যবহৃত হয়। আগে ছিল কাঠের রথ। বর্তমানে এই রথের দেখভাল করেন কলকাতার শ্যামবাজারের বসু পরিবার। ৯ চুড়া বিশিষ্ট এই রথ ৫০ ফুট উচ্চতার। লোহার ১২ টি চাকা রয়েছে।
লক্ষাধিক ভক্ত সমাগমকে সামাল দেওয়ার জন্য রবিবার পুলিশ ও প্রশাসনের তরফ থেকে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। দুপুর থেকেই বন্ধ ছিল জিটি রোডের যান চলাচল। জিটি রোড ধরে জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রাকে নিয়ে সুসজ্জিত রথ মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে এগিয়ে যায়।
রাহী হালদার