লোককথা অনুসারে, দিগনগরে জগন্নাথ দর্শন না করলে পুরী দর্শনের পুন্যলাভ হয় না। তাই পুরীতে জগন্নাথের পুজো দিয়ে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের দিকনগরে অনেকেই আসেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। রথের দিন এলাকায় অগণিত ভক্তের সমাগম হয়।
বর্ধমানের মহারাজা কীর্তিচাঁদ পুরীতে জগন্নাথ দর্শনে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে আউশগ্রামের দিকনগরে জগন্নাথ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। নিত্যপুজোর জন্য সেবাইত নিয়োগের পাশাপাশি খরচ চালানোর জন্য জমিও দান করেন মহারাজ। সেই জমির আয়েই এতদিন মন্দিরের দেখভাল করতেন সেবাইতরা। বর্তমানে এই মন্দির পরিচালনা করে ট্রাস্টি কমিটি। নিত্যপুজো, নিত্যভোগ হয়।
advertisement
রথযাত্রা উপলক্ষে জমজমাট দিকনগর। পুরীর মতো এখানেও জগন্নাথ- বলরাম-সুভদ্রার নিমকাঠের মূর্তি। স্নানযাত্রার পর তা শোওয়ানো থাকে জলের তলায়। ভাষ্কর এসে অঙ্গরাগ করেন। রথযাত্রার জন্য সেজে উঠেন জগন্নাথ। সারাদিন পূজার্চনার পর গোধূলিবেলায় টান পড়ে রথের রশিতে।
বর্ধমানের মহারাজা কীর্তিচন্দ্র মহতাবের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত দিকনগরের জগন্নাথদেবের মন্দির। প্রতি বছর এখানে ধুমধাম সহকারে রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়। প্রভুর রথের রশিতে একবার টান দেওয়ার জন্য দূর দূরান্ত থেকে ভিড় করেন পুণ্যার্থীরা। গত দুবছর করোনার জন্য উৎসবে মাতোয়ারা হতে পারেননি বাসিন্দারা, এবার ঘরে ঘরে আত্মীয় পরিজন। মেলা বসেছে দিগনগরে।