চলতি বছরে কলকাতার পাশাপাশি জেলার প্রতিটি যাত্রাপালার বুকিং অনেকটাই বেড়েছে। আর তাতে খুশি যাত্রা শিল্পের সঙ্গে জড়িতে থাকা মানুষজন। তারা আশাবাদী যাত্রাশিল্প নিয়ে মানুষের পুরানো আবেগ আগের মতই ফিরে আসবে। রথ থেকে উল্টোরথ এই সময় যাত্রাপালা বুকিং করলে বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। তাই বর্তমানে যাত্রা বুকিং অফিসে বিভিন্ন দুর্গাপুজো কমিটি ও অন্যান্য অনুষ্ঠান কমিটির চোখে পড়ার মত। যাত্রাপালা বুকিং এর ভিড় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার শ্রীধরপুরে বিভিন্ন যাত্রা বুকিং অফিসে সকাল থেকে রাত্রি ভিড় যাত্রা বুকিংয়ে। কলকাতার চিৎপুরের পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার যাত্রা বুকিং এর দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে আসছে বিগত কয়েক বছর ধরে।
advertisement
২৭ জুন শুক্রবার রথের দিন নন্দকুমার এ যাত্রা বুকিং অফিসগুলিতে চরম ব্যস্ততা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে পুজো কমিটি, বিভিন্ন সংস্থার যাত্রা বুকিং করছে এদিন। কলকাতা সহ জেলার প্রতিটি যাত্রা দলের এবারের যাত্রাপালা বুকিং চলছে ভাল মতই। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী হাওড়া, ২৪ পরগনা এবং মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু আয়োজক কমিটি যাত্রাপালা বুকিং এর জন্য এসেছেন। যাত্রাপালা বুকিং অফিসের মালিক অক্ষয় মাইতি জানান, ‘শুধু রথের দিন বিভিন্ন যাত্রাদল মিলিয়ে ৫০০০ হাজার পালা বুকিং হল। রথের দিনেই কয়েক কোটি টাকার যাত্রাপালা বুকিং হচ্ছে।’
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যাত্রা বুকিং সেন্টারের মালিক অক্ষয় দুয়ারী জানান, কলকাতা থেকে নন্দকুমারে যাত্রাপালা বুকিং করলে অনেক সুবিধে পাওয়া যায়। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে নন্দকুমারে এই যাত্রা বুকিং অফিস রয়েছে। এবছর খুব ভালই সাড়া পড়েছে। যাত্রা শিল্পীরা মনে করেন পূর্ব মেদিনীপুরের যাত্রা অনুরাগের সংখ্যা অনেক বেশি। তাই বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই এই রথযাত্রার দিনে বিভিন্ন পুজো কমিটি বা সংস্থা বুকিং করে রাখেন। সব মিলিয়ে যাত্রা দলের বুকিং ভালই পরিমাণ হচ্ছে। আর তাতেই যাত্রা দলের মালিক থেকে দল ম্যানেজার এমনকি বুকিং অফিসের লোকজনেরাও খুশি।
সৈকত শী