সকাল থেকেই সানাই ও সন্ধ্যার পর বাহারি আলোর রোশনাইয়ে ভাসছে বাংলার নতুন তীর্থক্ষেত্র। মন্দির থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে আলোর কারসাজি। বাঁধা হয়েছে মাইক। সড়কের দু’পাশে বাঁশের ব্যারিকেড। ভিড় নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর ড্রপ গেট। প্রথমবার দিঘায় রথযাত্রার সাক্ষী থাকতে বহু ভক্ত হোটেল বুক করেছেন। আজ, ২৫ জুন থেকেই পাঁশকুড়া-দিঘা অতিরিক্ত আরও একটি স্পেশ্যাল ট্রেন চালাবে রেলমন্ত্রক। সকাল ৭টায় ওই ট্রেন চলবে। সাধারণ মানুষজনের তাতে সুবিধা হবে। রথযাত্রা উপলক্ষ্যে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তাই সড়ক পথ এড়িয়ে অনেক পর্যটক ট্রেনে দিঘা যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের যুগ্ম সম্পাদক সৌমেন মাইতি জানিয়েছেন, সব বাস বুকিং আছে। প্রচুর মানুষ বাসে চেপে আসছেন। নয়া রুটেও বাস দেওয়া হয়েছে।
advertisement
জগন্নাথ মন্দির থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার রথযাত্রার পথ ও পার্কিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) অনির্বাণ কোলেকে। জগন্নাথ মন্দিরের ভেতরে পুজো, প্রভুকে রথে ওঠানো, নামানো প্রভৃতি দেখভালের দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) বৈভব চৌধুরী। অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর দায়িত্ব বর্তেছে মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল ভিআইপির সুষ্ঠুভাবে আসা ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ বিষয়ে। এছাড়াও অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সৌভিক চট্টোপাধ্যায় হোটেল, অতিবৃষ্টি কিংবা প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে তা মোকাবিলার দায়িত্বে রয়েছেন। রথের দিন ভোর থেকেই শুরু তাই নিরাপত্তার কড়াকড়ি ।