তাঁর গভীর চোখের দিকে তাকালে সংলাপ বলতে ভুলে যেতেন সহ-অভিনেতারা, অথচ সুপারস্টার ধর্মেন্দ্রকে পাগলের মতো ভালবেসেছিলেন এই অভিনেত্রী 

Last Updated:
১৯৭২ সালে মাত্র ৩৮ বছর বয়সেই নিভে গিয়েছিল তাঁর জীবনের প্রদীপ। সেই সময় তাঁর খুবই কাছের বন্ধু নার্গিস একটি আবেগঘন চিঠি লিখেছিলেন।
1/6
নিজের দুর্ধর্ষ অভিনয় প্রতিভার জোরে ভক্তদের মুগ্ধ করেছেন তিনি। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করে বি-টাউন কাঁপিয়েছেন। আজও তাঁর অভিনীত সেই চরিত্রগুলির ছাপ সকলের মনেই গভীর। কিন্তু একটি ছবিতে তাঁর করা চরিত্র যেন অমর হয়ে রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকে জীবনটাই যেন নরক গুলজার হয়ে গিয়েছিল এহেন অভিনেত্রীর।
নিজের দুর্ধর্ষ অভিনয় প্রতিভার জোরে ভক্তদের মুগ্ধ করেছেন তিনি। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করে বি-টাউন কাঁপিয়েছেন। আজও তাঁর অভিনীত সেই চরিত্রগুলির ছাপ সকলের মনেই গভীর। কিন্তু একটি ছবিতে তাঁর করা চরিত্র যেন অমর হয়ে রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকে জীবনটাই যেন নরক গুলজার হয়ে গিয়েছিল এহেন অভিনেত্রীর।
advertisement
2/6
প্রতিভাময়ী এই অভিনেত্রী আর কেউ নন, মীনা কুমারী। ১৯৭২ সালে মাত্র ৩৮ বছর বয়সেই নিভে গিয়েছিল তাঁর জীবনের প্রদীপ। সেই সময় তাঁর খুবই কাছের বন্ধু নার্গিস একটি আবেগঘন চিঠি লিখেছিলেন। এমনকী সেই চিঠি আজও পাঠক এবং ভক্তদের চোখে জল এনে দেবে। মীনা কুমারী আসলে এতটাই সুন্দরী অভিনেত্রী ছিলেন যে, সহ-অভিনেতারা তাঁর চোখের গভীরে একবার তাকালে নিজেদের সংলাপ পর্যন্ত ভুলে যেতেন। (File Photo)
প্রতিভাময়ী এই অভিনেত্রী আর কেউ নন, মীনা কুমারী। ১৯৭২ সালে মাত্র ৩৮ বছর বয়সেই নিভে গিয়েছিল তাঁর জীবনের প্রদীপ। সেই সময় তাঁর খুবই কাছের বন্ধু নার্গিস একটি আবেগঘন চিঠি লিখেছিলেন। এমনকী সেই চিঠি আজও পাঠক এবং ভক্তদের চোখে জল এনে দেবে। মীনা কুমারী আসলে এতটাই সুন্দরী অভিনেত্রী ছিলেন যে, সহ-অভিনেতারা তাঁর চোখের গভীরে একবার তাকালে নিজেদের সংলাপ পর্যন্ত ভুলে যেতেন। (File Photo)
advertisement
3/6
বড়সড় তথ্য ফাঁস করেছিলেন নার্গিস: নার্গিস এই চিঠিটি লিখেছিলেন ঊর্দু ভাষায়। এমনকী এর উল্লেখ রয়েছে ইয়াসির আব্বাসির বই উন দিনোঁ কি বাত হ্যায়। নার্গিস নিজের সেই চিঠিতে লিখেছিলেন যে, “ডেথ মুবারক হো মীনা (মৃত্যুর জন্য অভিনন্দন, মীনা)... আজ তোমার মৃত্যুর জন্য তোমার বোন তোমায় অভিনন্দন জানাচ্ছে আর সঙ্গে এটাও প্রার্থনা করছে যে, যাতে তোমাকে আর কখনওই যেন এই দুনিয়ায় ফিরে আসতে না হয়। এই পৃথিবী তোমার মতো একজন নরম মনের এবং সত্যবাদী মানুষের যোগ্য নয়।” আর নার্গিসের চিঠির এই একটা ছোট্ট লাইনেই মীনার সারা জীবনের যন্ত্রণা এবং একাকীত্ব লুকিয়ে রয়েছে। (File Photo)
বড়সড় তথ্য ফাঁস করেছিলেন নার্গিস: নার্গিস এই চিঠিটি লিখেছিলেন ঊর্দু ভাষায়। এমনকী এর উল্লেখ রয়েছে ইয়াসির আব্বাসির বই উন দিনোঁ কি বাত হ্যায়। নার্গিস নিজের সেই চিঠিতে লিখেছিলেন যে, “ডেথ মুবারক হো মীনা (মৃত্যুর জন্য অভিনন্দন, মীনা)... আজ তোমার মৃত্যুর জন্য তোমার বোন তোমায় অভিনন্দন জানাচ্ছে আর সঙ্গে এটাও প্রার্থনা করছে যে, যাতে তোমাকে আর কখনওই যেন এই দুনিয়ায় ফিরে আসতে না হয়। এই পৃথিবী তোমার মতো একজন নরম মনের এবং সত্যবাদী মানুষের যোগ্য নয়।” আর নার্গিসের চিঠির এই একটা ছোট্ট লাইনেই মীনার সারা জীবনের যন্ত্রণা এবং একাকীত্ব লুকিয়ে রয়েছে। (File Photo)
advertisement
4/6
নিজের চিঠিতে এক বড়সড় কথা ফাঁস করেছিলেন নার্গিস। তিনি লিখেছিলেন যে, মীনা কুমারী যদি নিজের সমস্ত মন উজাড় করে কাউকে ভালবেসে থাকেন, তাহলে সেটা হবেন একমাত্র ধর্মেন্দ্র। যদি তিনি পাগলের মতো কাউকে ভালবাসেন, তাহলে সেটা ধর্মেন্দ্রই। তবে এই সম্পর্ক পরিণতি পায়নি। কিন্তু সেটা অনেকটাই গভীর ছিল। মীনা এবং ধর্মেন্দ্র একসঙ্গে অনেকগুলি ছবি করেছিলেন। পর্দায় তাঁদের রসায়ন দেখে মানুষ বুঝতে পারত যে, সেটা শুধু অভিনয়ই ছিল না, তাঁদের মধ্যে আরও গভীর কিছু ছিল।
নিজের চিঠিতে এক বড়সড় কথা ফাঁস করেছিলেন নার্গিস। তিনি লিখেছিলেন যে, মীনা কুমারী যদি নিজের সমস্ত মন উজাড় করে কাউকে ভালবেসে থাকেন, তাহলে সেটা হবেন একমাত্র ধর্মেন্দ্র। যদি তিনি পাগলের মতো কাউকে ভালবাসেন, তাহলে সেটা ধর্মেন্দ্রই। তবে এই সম্পর্ক পরিণতি পায়নি। কিন্তু সেটা অনেকটাই গভীর ছিল। মীনা এবং ধর্মেন্দ্র একসঙ্গে অনেকগুলি ছবি করেছিলেন। পর্দায় তাঁদের রসায়ন দেখে মানুষ বুঝতে পারত যে, সেটা শুধু অভিনয়ই ছিল না, তাঁদের মধ্যে আরও গভীর কিছু ছিল।
advertisement
5/6
বিয়ের পর নরক-যন্ত্রণা: তিন সন্তানের জনক কমল আমরোহির সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন মীনা কুমারী। কিন্তু এই বৈবাহিক সম্পর্কে শুধু একাকীত্বই ছিল ‘পাকিজা’ অভিনেত্রীর সঙ্গী। বিয়েটা এক সময় ভেঙেও গিয়েছিল। ফলে আরও একাকী হয়ে গিয়েছিলেন মীনা কুমারী। ফলে মদ্যপানের আসক্তিতে ডুবে যেতে হয়েছিল তাঁকে। এই সময়েই ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে অভিনেত্রীর। কিন্তু সেই সম্পর্ক পরিণতি পায়নি। এদিকে ধর্মেন্দ্রর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কমল আমরোহি। সেই কারণে রাজিয়া সুলতান ছবিতে ধর্মেন্দ্রকে এক ক্রীতদাসের চরিত্রে নিয়েছিলেন তিনি। সেই চরিত্র করতে গিয়ে অভিনেতার মুখে কালো মাটি লেপতে হয়েছিল। এমনকী কড়া রোদে শ্যুট করতে বাধ্য করা হয়েছিল ধর্মেন্দ্রকে।
বিয়ের পর নরক-যন্ত্রণা: তিন সন্তানের জনক কমল আমরোহির সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন মীনা কুমারী। কিন্তু এই বৈবাহিক সম্পর্কে শুধু একাকীত্বই ছিল ‘পাকিজা’ অভিনেত্রীর সঙ্গী। বিয়েটা এক সময় ভেঙেও গিয়েছিল। ফলে আরও একাকী হয়ে গিয়েছিলেন মীনা কুমারী। ফলে মদ্যপানের আসক্তিতে ডুবে যেতে হয়েছিল তাঁকে। এই সময়েই ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে অভিনেত্রীর। কিন্তু সেই সম্পর্ক পরিণতি পায়নি। এদিকে ধর্মেন্দ্রর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কমল আমরোহি। সেই কারণে রাজিয়া সুলতান ছবিতে ধর্মেন্দ্রকে এক ক্রীতদাসের চরিত্রে নিয়েছিলেন তিনি। সেই চরিত্র করতে গিয়ে অভিনেতার মুখে কালো মাটি লেপতে হয়েছিল। এমনকী কড়া রোদে শ্যুট করতে বাধ্য করা হয়েছিল ধর্মেন্দ্রকে।
advertisement
6/6
বলে রাখা ভাল যে, মীনা কুমারী শুধু একজন দুর্ধর্ষ অভিনেত্রীই নন, এর পাশাপাশি তিনি তুখোড় নৃত্যশিল্পীও ছিলেন। নিজের অভিনয়ের কেরিয়ারে ধর্মেন্দ্র, অশোক কুমার, গুলজারের মতো খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। এমনকী এই ব্যক্তিত্বদের সঙ্গেও জড়িয়েছিল অভিনেত্রীর নাম।
বলে রাখা ভাল যে, মীনা কুমারী শুধু একজন দুর্ধর্ষ অভিনেত্রীই নন, এর পাশাপাশি তিনি তুখোড় নৃত্যশিল্পীও ছিলেন। নিজের অভিনয়ের কেরিয়ারে ধর্মেন্দ্র, অশোক কুমার, গুলজারের মতো খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। এমনকী এই ব্যক্তিত্বদের সঙ্গেও জড়িয়েছিল অভিনেত্রীর নাম।
advertisement
advertisement
advertisement