১৬২৫ খিস্টাব্দে বৈষ্ণবাচার্য শামানন্দ ও তাঁর শিষ্য রসিকানন্দের উদ্যোগে গোপীবল্লভপুরে রথযাত্রার উৎসব শুরু হয়েছিল। এখন গোপীবল্লভপুরের মহান্ত কৃষ্ণকেশবানন্দ দেব গোস্বামীর উদ্যোগে রথযাত্রা পালিত হয় বৈষ্ণবক্ষেত্র শ্রীপাট গোপীবল্লভপুরে। ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রাও চারশো বছরের পুরানো।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে রথ নিয়ে আবেগও প্রবল। ১৬২৫ সালে প্রথম গোপীবল্লভপুরের রথযাত্রার এই উৎসব শুরু হয়। এবার, ৪০০ বছরে পদার্পণ এই ঐতিহ্যবাহী রথ উৎসবের। সকাল থেকেই মন্দিরে ভিড় ভক্তদের। মাহেশের রথের পর সর্বাধিক পুরানো রথ হলেও সেভাবে প্রচারে আসেনি। গোপীবল্লভপুর সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত হওয়াতে বাংলা নয়, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড থেকেও কাতারে কাতারে মানুষ ফি-বছর এই উৎসবে যোগ দিতে আসেন।
শোনা যায়, স্বপ্নাদেশ পেয়ে রসিকা নন্দপ্রভুর শিষ্য পুরীর রাজা গজপতি লাঙ্গুলা নৃসিংহদেব পুরীর জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরাম দেবীমূর্তির নবকলেবরের সময় একই কাঠ দিয়ে গোপীবল্লভপুরের এই গোবিন্দ মন্দিরের বিগ্রহ নির্মাণ করান। জগন্নাথদেবের রথযাত্রা দেখতে এলাকার বাসিন্দাদের পক্ষে পুরী বা মায়াপুর যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।
সেই সাধপূরণ করছে এখানকার রথ, থাকে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন৷ এই শোভাযাত্রাটি বাদ্যযন্ত্র, মন্ত্র পাঠ এবং ভক্তদের উল্লাসের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। রথযাত্রার আগে দেবতাদের রথে আরোহণের জন্য এক বিশেষ শোভাযাত্রা যা ভক্তি ও আনন্দের মধ্যে দিয়ে পালিত হয়।
তন্ময় নন্দী