আরও পড়ুন- উধাও হবে সব রোগ! ঝরবে মেদ, মন থাকবে ফুরফুরে! শুধু হাঁটুন এই ‘৬-৬-৬’ নিয়মে!
কথিত আছে চৈতন্য মহাপ্রভু নীলাচলে যাওয়ার সময় অন্ধমুনিতলা থেকে কিছুটা দূরে আদিগঙ্গার পাড়ে অবস্থান করেছিলেন। সেখানে তিনি ভোগ বিতরণ করেন। সেই থেকে এলাকার নাম হয় ছত্রভোগ। ঐতিহাসিক স্থান হিসাবে এই ছত্রভোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। বছরের কয়েকটি নির্দিষ্ট দিনে বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী মানুষজন এখানে একত্রিত হন। সেইদিন এখানে হাজার হাজার ভক্ত ভিড় জমান।
advertisement
চৈতন্য মহাপ্রভু ঠিক কবে এসেছিলেন ছত্রভোগে? মন্দিরের গায়ে খোদিত পাথরের শিলালিপি দেখে জানা যায় যে, তিনি এসেছিলেন ১৫১১ খ্রীষ্টাব্দে। পরে এই ফুটপ্রিন্টটি পাকাপাকিভাবে স্থাপন করা হয় ১৯৩৩ খ্রীষ্টাব্দে। সরস্বতী গোস্বামী মহারাজ এই ফুটপ্রিন্টটি স্থাপন করেন।
জানা যায় যে চৈতন্য মহাপ্রভু নীলাচলে যাওয়ার সময় তিনি তাঁর চার ভক্তের সঙ্গে আদিগঙ্গার পাড় ধরে একসময় উপস্থিত হয়েছিলেন এই ছত্রভোগে। ছত্রভোগে আসার পর তিনি সেখানে রাত্রিযাপন করেন। সেখানে লীলা কীর্তন করেন এবং তিনি তার পদচিহ্ন রেখে যান এই ছত্রভোগে। যেটি আজও সযত্নে রক্ষিত আছে সেখানে। বর্তমানে আদিগঙ্গার ধারা প্রায় বিলীন হয়ে গিয়েছে। তবে রয়ে গিয়েছে চৈতন্য মহাপ্রভুর আগমনের চিহ্ন। রাস উৎসব আসলেই সেই স্মৃতি টাটকা হয়ে ওঠে এই এলাকায়। আজও তাঁর ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হাজার হাজার ভক্ত আসেন এখানে। আপনিও তাহলে দেরি করছেন কেন, চলে আসুন মথুরাপুরে।
নবাব মল্লিক