সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার কথা বলেন চিকিৎসকরা। তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজন শিশুটিকে নিয়ে চার ঘণ্টার মধ্যে উলুবেড়িয়া ফুলেশ্বর সঞ্জীবন হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পলয়লা নভেম্বর ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। চিকিৎসকদের কথায়, শিশুটি যে অবস্থায় আসে তাতে এবডোমিনাল ওয়াল ছিল না। পেটের সমস্ত অর্গান বাইরে বের হওয়া অবস্থায় ছিল।
আরও পড়ুন- লাদাখ থেকে কফিনবন্দি হয়ে ফিরল ঘরের ছেলে, কাঁদল গোটা হরশংকর গ্রাম
advertisement
এই ধরনের অবস্থা বিরল বলাই চলে। শিশুদের ক্ষেত্রে বাঁচানো খুব চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ে। কারণ পেটের সমস্ত অর্গান বাইরে হলে অপারেশন করে সেগুলি ভিতরে ঢুকিয়ে ঠিক করা হলেও ভয় থাকে ইনফেকশনের। সেই সব দিক বিবেচনা করে সঞ্জীবনের চিকিৎসকরা তড়িঘড়ি শিশুর চিকিৎসা শুরু করে দেন। অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সাপোর্ট নিয়ে সঞ্জীবনের একটি চিকিৎসক দল শিশুটির জটিল অপারেশন করে।
অপারেশন সফল হলেও চিকিৎসকদের চিন্তা ছিল ইনফেকশনের। এটাই এই অপারেশনে বড় ভয়। কিন্তু এই বিরল অপারেশনের পর এক মাস ধরে চিকিৎসা চলে শিশুটির। এই এক মাসে শিশুটিকে বেশ কিছুদিন ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। এক মাসে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে অত্যাধুনিক কেয়ার ইউনিট সাপোর্ট দিয়ে চিকিৎসা চালানো হয়।
আরও পড়ুন- কেটে পড়ে গেল ব্যাগ, ঘাতক চিনা মাঞ্জার সুতোর আঘাত থেকে কোনওমতে বাঁচলেন চালক
এক মাস দশ দিন চিকিৎসা চলার পর এখন শিশুটি সুস্থ। পরিবারের লোকজন তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। সঞ্জীবন হাসপাতালের ডিরেক্টর শুভাশিস মিত্র জানান, এটি একটি ব্যয়বহুল অপারেশন। তবে সমস্ত খরচ স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডে করে দেওয়া হয়েছে।