ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ইষ্ট দেবতা ছিলেন মা কালী। দীপান্বিতা অমাবস্যায় তাঁর জন্মস্থান কামারপুকুরে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে নিষ্ঠা ভরে কালীপুজোর আয়োজন করা হয়। এখানকার পুজো বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে হয়। বেলুড় মঠের সন্ন্যাসী মঠের পুজো করেন। সারা রাত ধরে পুজো চলে। শক্তির আরাধনা উপলক্ষে গোটা মঠ আলোয় সাজানো হয়। বিশেষ এই পুজোপাঠ দেখতে মঠে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। অন্যান্য দিনগুলিতে মঠ রাত ৯টায় বন্ধ হয়ে গেলেও উৎসব উপলক্ষে সারা রাত মঠ খোলা থাকে।
advertisement
বাঁকুড়ার কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের কালীপুজো ঘিরে ব্যাপক ভক্ত সমাগম হয়। কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠকে বাহারি আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। জ্বালানো হয় প্রদীপ। ঠাকুর রামকৃষ্ণদেব মা কালীর পুজো করেছিলেন। তিনি মায়ের সঙ্গে কথা বলতেন। মাকে গান শোনাতেন। কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কামারপুকুর মঠে কালীপুজো শুরু হয়। দেবী এখানে শ্যামবর্ণা। পরানো হয় নানারকম গয়না। প্রতি বছরই মঠের কালীপুজো দেখার জন্য প্রচুর ভক্ত আসেন। এবারও তার অন্যথা হয়নি। সকাল থেকেই আসতে শুরু করেন ভক্তরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, কামারপুকুর মঠের নিজস্ব গেস্ট হাউস রয়েছে। সেই সব গেস্ট হাউস ভর্তি হয়ে যায় এই সময়ে। কামারপুকুরের অন্যান্য লজেও ভক্তরা উঠেছেন। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ পুজো শুরু হয়। প্রায় সারারাত ধরে পুজো চলে। হোমও হয়। সকাল নাগাদ মায়ের খিচুড়ি ভোগ ও প্রসাদ বিতরণের রীতিও রয়েছে।