ফলে এক মুহূর্তও বিশ্রাম নেই শিল্পীদের, নাওয়া খাওয়ার সময়ও যেন নেই। রাখি শিল্পী তনুশ্রী মজুমদার বলেন, “এই রাখির মজুরি অন্যান্য রাখির তুলনায় বেশি। তাই বছরের পর বছর ধরে আমরা এই সময়টার জন্যই অপেক্ষা করি।” পরিশ্রম বেশি হলেও মজুরি বেশি থাকার কারণে শিল্পীরা স্বাচ্ছন্দ্যে আনন্দের সঙ্গেই করেন রাখি তৈরির কাজ। এই শিল্পে বহুদিন ধরেই কাজ করে চলেছেন কালনার শতাধিক মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুন: ম্যানগ্রোভ রোপণ করেই শান্তি…! এমন কিন্তু নয়, বাঁচাতে রয়েছে সুনির্দিষ্ট কৌশল, সময় লাগে কমকরে ২ বছর
২০১৬ সালে গড়ে ওঠে কালনা উইভার্স আর্টিজান ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, যার হাত ধরেই শুরু হয় সংগঠিত রাখি শিল্পের এক নতুন অধ্যায়। সেই থেকে রাজ্য সরকারের নিয়মিত বরাত পেয়ে আসছে এই সংস্থা। এ বছর রেকর্ড বরাত পেয়ে স্বভাবতই খুশি সংস্থার সম্পাদক তপন মোদক। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই বরাত শুধু আমাদের শিল্পীদের মুখে হাসি ফোটায় না, বরং এই শিল্পকে নতুনভাবে বাঁচিয়ে রাখে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রাখি মানে শুধু একটুকরো সুতো নয়, এ যেন ভাইবোনের ভালবাসার সঙ্গে মিশে থাকা এক টুকরো বিশ্বাস। আর সেই বিশ্বাস, ভালবাসাকে সযত্নে গড়ে চলেছেন পূর্ব বর্ধমানের কালনার শিল্পীরা। বর্তমানে দিন রাত এক করে চলছে রাখি তৈরির কাজ।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী