জানা যায়, ১৩১২ বঙ্গাব্দে মুর্শিদাবাদের কান্দিতে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর বাড়িতে প্রায় ৫০০ মহিলা ‘বঙ্গলক্ষ্মীর ব্রতকথা’ শুনিয়ে অরন্ধন করে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদ করেছিলেন। আর তখনই নারীরা পুরুষের হাতে হলুদ সুতো পড়িয়ে দিয়ে এই পবিত্র রাখি বন্ধন উৎসবের সূচনা করা হয়। স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। মুর্শিদাবাদের বহু জায়গা জড়িত স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে। জেলার অন্যতম শহর কান্দি।
advertisement
কান্দিতে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন বিজ্ঞানসাধক আচার্য রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুর্শিদাবাদে বেশ কিছু মহিলা সমিতিও গড়ে উঠেছিল তাঁর উদ্যোগে। যদিও সেই সময় খুব কম মেয়েরাই বাড়ির বাইরে এসে সভা সমিতিতে যোগ দিতেন। নেতাজি সুভাচন্দ্রের সঙ্গে মণিমালা দেবীর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তিনি চেয়েছিলেন নারী-পুরুষ, হিন্দু ও সংখ্যালঘু সকলেই ইংরেজদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ দিন। তাঁরই উদ্যোগে এই বঙ্গলক্ষ্মীর ব্রতকথা পাঠ করা হয়। মিছিল করা হয় সমগ্র কান্দি শহর জুড়ে।
আরও পড়ুনঃ দামে কম-মানে ভাল, রাখিতে ভাই-বোনের জন্য কী উপহার কিনবেন? রইল দারুন টিপস
১৯৩৯-এর ৩১ জুলাই, মৃণাল দেবীকে এক চিঠিতে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু লিখেছিলেন, “মুর্শিদাবাদ জেলায় মহিলা সমিতির কাজ প্রসারলাভ করিতেছে জানিয়া আমি সুখী হইয়াছি। নারী সমাজে জাতীয়তার বাণী প্রচার করা বিশেষ প্রয়োজন এবং সেই কাজের জন্য মহিলা সমিতির ও মহিলা কর্মীর বিশেষ আবশ্যকতা আছে।” কলকাতায় ইংরেজদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রসার ঘটাতেই কান্দি জেমোতে রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদীর বাড়িতে বঙ্গলক্ষ্মীর ব্রতকথা পাঠ করা হয় এবং সূচনা হয় পবিত্র রাখি বন্ধন উৎসবের।
কৌশিক অধিকারী