হাজারিবাগ সংশোধনাগারে থাকা এক কুখ্যাত সুপারি কিলার আমন সিং রাজু খুনে জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেই কুখ্যাত সুপারি কিলার জেলে বসেই বিভিন্ন জায়গায় অপারেশন সারে। রাজু খুনে জড়িত সুপারি কিলাররা ঘটনার আগে হাজারিবাগ সংশোধনাগারে গিয়ে থাকতে পারে বলে তদন্তকারীদের সন্দেহ।
আরও পড়ুন: আজ রাজ্যে অমিত শাহ! প্রথমে অনুব্রত গড়ে সভা, তারপরে কলকাতায় বৈঠক, দিনভর শাহী সফরে নজর
advertisement
কারা হাজারিবাগের সংশোধনাগারে ওই কুখ্যাত দুষ্কৃতীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে সে সম্পের্ক তথ্য পেতে চায় পুলিশ। সেকারণে হাজারিবাগ সংশোধনাগারের প্রধান প্রবেশপথ ও তার আশপাশের সি সি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা। সংশোধনাগারের বাইরের সি সি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়ার জন্য বর্ধমান সিজেএম আদালতে আবেদন করেছেন তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন সিজেএম। হাজারিবাগ সংশোধনাগারের সুপারকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহে সব ধরনের সাহায্য করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
রাজুকে খুনে তিনজন দুষ্কৃতী জড়িত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তিন জনকেই রাজুর গাড়ির সামনে দেখা গিয়েছে। গাড়িতে রাজুর সঙ্গী ব্রতীন মুখোপাধ্যায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন। তাঁর বাঁ হাতে গুলি লাগে। রাজুর উপর হামলা হচ্ছে দেখে তিনি তাঁকে বাঁচাতে আসেন। সেসময় দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে। হাতে গুলি লাগলে প্রাণভয়ে তিনি পালিয়ে যান। ব্রতীনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই তথ্য পেয়েছে সিট।
ঘটনার সময় রাজুর গাড়িতে একটি ট্রলিব্যাগ ও ব্রিফকেস ছিল। দু’টিই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ট্রলিব্যাগে জামা–কাপড় ছাড়াও ১ লক্ষ ৫০ হাজার ২০ টাকা ও কিছু কাগজপত্র ছিল। ব্রিফকেসে ৯৫ হাজার ১৬৫ টাকা ছিল। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের কাছে একটি রেস্তোরাঁর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে ঘটনার সময়ের কিছু ভিডিও মিলেছে। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
দুষ্কৃতীরা যে নীল গাড়িতে চেপে এসেছিল তা থেকে ১২টি অব্যবহৃত কার্তুজ মিলেছে। রাজুর দু’টি আইফোন তদন্তকারীরা বাজেয়াপ্ত করেছেন। সেখান থেকে কিছু তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।