Heatwave: চড় চড় করে চড়ছে পারদ! তাপপ্রবাহে বাড়ছে হিটস্ট্রোকের আশঙ্কা! কী করবেন কী করবেন না, জেনে নিন এই বেলা

৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে পারদ৷ অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টের মধ্যে বাড়ির বাইরে না বেরনোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷

প্রবল রোদে বাইরে বেরোলে পথেঘাটে অনেককেই অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখা যায়। অনেকে জ্ঞান হারান। অনেকেই হাত-পা অবশ বলে মনে করেন৷ দুর্বল হয়ে হারিয়ে ফেলেন দাঁড়িয়ে থাকার শক্তিও। প্রচণ্ড গরমে শরীরে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে, আসতে পারে বমি বমি ভাব কিংবা খিঁচুনিও৷

এই সময় কী করবেন আর কী করবেন না, তার স্পষ্ট ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি৷ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছে, হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তি ঠিক সময়ে ঠিক চিকিৎসা না তাঁদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। তাই প্রাথমিক চিকিৎসা করে হাসপাতালে পৌঁছনো গেলে একটা প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়৷

হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে চট করে জল খাওয়ানো একদম উচিত নয়৷ এতে হিতে বিপরীত হতে পারে৷ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে প্রথমেই হাইপোথ্যালামাস বিকল হয়। দেহের তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হয়ে ঘাম নিঃসরণও বন্ধ হয়ে যায়। আর তাতেই বাড়ে সমস্যা।

হিট স্ট্রোকের লক্ষণ কী? আক্রান্তের শরীর প্রচণ্ড গরম থাকবে৷ অথচ, কোনও ঘাম থাকবে না। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তি অজ্ঞান হতে পারেন, আবার না-ও পারেন৷ তাঁর শরীরে অস্থিরতা, খিঁচুনি হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। সব ক্ষেত্রেই ঠান্ডা জল দিয়ে শরীরের বাইরের অংশকে দ্রুত শীতল করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে তাঁকে।

এই সময় অনেকের ‘হিট এগ্‌জ়শন’ও হয়। এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি প্রবল ঘামতে থাকেন। এর সঙ্গে, গা-বমি ভাব, চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, ক্লান্তি। সে ক্ষেত্রে ছায়াযুক্ত জায়গায় নিয়ে গিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির বগলে, কুঁচকিতে বরফ দিলে তিনি সুস্থ বোধ করবেন।

শিশু ও বয়স্কদের হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। তা ছাড়া যাঁরা হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবিটিসের মতো রোগে ভুগছেন তাঁরাও সতর্ক থাকবেন৷

বাইরে একান্ত বেরতেই হলে রোদচশমা, ছাতা এবং জল অবশ্যই সঙ্গে নেবেন। গা ঢাকা হাল্কা সুতির পোশাক পরবেন। বেশি ঘামলে, ওআরএস-এর জল অল্প অল্প করে খেতে পারেন।