বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের বন্দোলহাটি গ্রামের বাসিন্দা রাজশ্রী চৌধুরীর দাবি তিনি যাদবপুর ইউনিভার্সিটি থেকে পাওয়ার প্লান্ট ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন ২০০০ সালে। তারপর বেলঘড়িয়া রামকৃষ্ণ মিশনে যোগ দেন । সেখান থেকে তিনি যান বেলুড় মঠে ট্রেনিংয়ের জন্য। সেখান থেকে শারীরিক সমস্যার কারণে ফিরে আসেন নিজের বাসভবন বন্দরহাটিতে। এরপর তিনি এক নামি কোম্পানিতে বেশ ভাল বেতনের চাকরি পান। তবে তিনি সেটা না করে আবারও ফিরে আসেন তার বাসভবনে ।
advertisement
এরপরই স্বপ্ন দেখেন যে এলাকার ছেলেমেয়েদেরকে বিনা পয়সায় শিক্ষাদান করবেন।এইভাবেই তিনি ১৮ বছর ধরে এলাকার ছেলেমেয়েদেরকে টিউশনি পড়াচ্ছেন। বিনা পয়সায় বহু ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়া শিখেছেন এই বিনা পয়সার শিক্ষকের কাছে। আগে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা কম থাকলেও এখন কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। ওই বন্ধনহাটি গ্রাম-সহ পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকেও এখন ছাত্র-ছাত্রীরা আসছেন টিউশন পড়ার জন্য। তবে রাজশ্রী বাবু এখন নামমাত্র মূল্যে শিক্ষকতা করছেন।
রাজশ্রী চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে বিনা পয়সায় শিক্ষকতা করলেও এখন কিন্তু এলাকার কিছু শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন গার্জেনরা গুরুদক্ষিণা হিসেবে নামমাত্র কিছু টাকা দেন। আর এতেই চলে তার সংসার। জানা যায়, এই শিক্ষক কোনও দিন কোনও ছাত্র-ছাত্রীকে বেতনের জন্য কোনও কথা বলেননি ।
অনিকেত বাউরী