বাড়ির ২৮ জন সদস্য,প্রত্যেকেই রাস্তায় বেরোতে ভয় পাচ্ছে। ওদের ভয় যে কোনও মুহূর্তে পুলিশ যে কোনও অছিলায় মামলায় ফাঁসিয়ে হেনস্তা করতে পারে। কারণ রাজকুমার সাহুর থানায় হেফাজতে মৃত্যুর পর ,পরিবার সিঁথি থানার তিন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট করে অভিযোগ দায়ের করে। ইতিমধ্যে ওই পরিবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। মহামান্য আদালতের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
advertisement
এদিন লাল বাজারের পক্ষ থেকে সাহু পরিবারকে আশ্বস্ত করা হয় ৷ তাদের আবেদনের ভিত্তিতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। পরিবারের দাবি,অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারেরা এখনও মুক্ত ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে ওদের কাছে হুমকি ফোন আসছে। অনেকে আবার এই পরিবারটিকে,রাজনৈতিক ছাপ লাগাতে চাইছেন। তবে ওই পরিবারের দাবি,ওরা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত না ।
রাজকুমার সাহুর ভাই রাকেশ সাহুর দাবি, তিনি বর্তমানের সরকারি পক্ষের রাজনৈতিক দল করেন। ওই পরিবারের এত বড় ঘটনার পরে, এখনও পর্যন্ত স্থানীয় কাউন্সিলররা রাজনৈতিক নেতা ওদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। লাল বাজার থেকে ওই তিন অফিসার এস এন দাস,অরিন্দম দাস ও চিন্ময়কে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। মূল অভিযুক্ত অফিসার এস এন দাসকে জিজ্ঞাসা বাদ করেছে। আশুরা বিবিকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়,কোনও জেনারেল ডাইরি করা হয়নি। এমনকি দাবি মত, রাজকুমার থানায় মারা যাবার সময়, উত্তেজনা বসত তাকে জামিন কিংবা কোনও নথি না করে ছাড়া হয়েছিল কিনা! এই সমস্ত কিছুর খোঁজ নিচ্ছে গোয়েন্দারা। সেই দিনের সিসিটিভির নমুনা সংগ্রহ করে দেখেছে সেই সময় কোন কোন পুলিশকর্মী থানায় উপস্থিত ছিল। একে একে সবাইকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দারা। বেশ কিছু প্রমাণ এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে।
Shanku Santra