প্রসঙ্গত, ২৯ জানুয়ারি তৃণমূল ছাড়েন রাজীব, মমতাকে পাঠান ইস্তফাপত্র। তাঁর আগে অবশ্য গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। হয়েছে একের পর এক ফেসবুক লাইভ। একের পর এক বিবৃতি, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট। অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মন্ত্রিত্ব এবং বিধায়ক পদের পর দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে দল ছাড়লেও ডোমজুড়কে ছাড়তে চাননি রাজীব। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর রাজীব বলেছিলেন, 'বাংলার মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। দলনেত্রীর কাছেও কৃতজ্ঞ, কারণ উনি আমাকে বিধায়ক হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। ডোমজুড়ের মানুষের পাশে থাকব। মানুষের স্বার্থেই রাজনীতি করব'। সম্ভবত প্রতিশ্রুতি রাখতেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পুরনো বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই লড়াইয়ের ইচ্ছে জানিয়েছিলেন রাজীব। সেকথা প্রকাশ্যে বলেওছেন প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রী। শনিবার গভীর রাতে রাজধানী দিল্লিতে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক সেরে ফিরেও কার্যত সেই ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ডোমজুড়ের তৃণমূল প্রার্থী কল্যানেন্দু ঘোষের সঙ্গে তাঁর লড়াই তাই সম্মানের লড়াই। সেই টক্কর ব্যালটবক্সে কতটা জোরদার হয় তা দেখতে অপেক্ষা এখন আরও কিছুদিনের।
advertisement