বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত এই গ্রামের বাসিন্দাদের প্রথমে নদী পেরিয়ে যেতে হয় পাটুলি। সেখানেই মেলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা। এককথায় গ্রামবাসীদের যাতায়াতের একমাত্র প্রধান মাধ্যম এই নৌকা। কিন্তু বর্ষা এলেই আতঙ্কে থাকেন গ্রামবাসীরা। এই বর্ষাকালে নদী পারাপার হতে গিয়ে চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এখানকার বাসিন্দাদের। এই প্রসঙ্গে দামপাল গ্রামের বাসিন্দা মন্টু বিশ্বাস বলেন, এখানে আমাদের পাশাপাশি দুটো গ্রাম রয়েছে। আমাদের এই নদী পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু বর্ষাকালে জল বাড়লে খুব অসুবিধা হয়। খেয়াঘাটের খুব সমস্যা রয়েছে। স্কুল পড়ুয়া থেকে মহিলা, সকলকেই সমস্যায় পড়েন।
advertisement
আরও পড়ুন: জটিল রোগের উন্নত চিকিৎসা এখন জেলাতেই
এদিকে নদী পেরোনোর জন্য দামপাল গ্রামে কোনও স্থায়ী ঘাট নেই। বর্ষা এলে নদীর জল বাড়লে ঘাটের স্থানও পরিবর্তন হয়। এছাড়াও নদী বাঁধ ভাঙনের কারণেও ঘাট দীর্ঘদিন এক জায়গায় স্থায়ী থাকে না। এছাড়াও ঘাট পর্যন্ত আসার রাস্তা ভয়াবহ। টোটো, ভ্যান তো দূরের কথা সাইকেল পর্যন্ত এই রাস্তা দিয়ে ভয়ে ভয়ে চালাতে হয়। জল, কাদা পেরিয়ে বিভিন্ন কাজের তাগিদে এভাবেই যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীদের।
পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রামের যাতায়াত ব্যবস্থা এতটাই খারাপ যে মধ্যরাতে জরুরিকালীন পরিস্থিতিতেও গ্রামবাসীদের নৌকার উপরেই নির্ভর করে থাকতে হয়। এই বিষয়ে দামপাল গ্রামের বাসিন্দা নিমাই মণ্ডল বলেন, মধ্যরাতে কারোর কিছু হলেও আমাদের নৌকার উপরেই নির্ভরশীল থাকতে হয়। ফোন করে মাঝিকে ডাকা হয়। সে না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আর উপায় থাকে না। বর্ষা এলে সমস্যা আরও বাড়ে।
এছাড়াও গ্রামবাসীদের আলোর জন্য দাবি রয়েছে দীর্ঘদিনের। নদীর ধারে সরকাঠি দিয়ে ঢাকা ঘাট সন্ধে হলেই ঢেকে যায় অন্ধকারে। কিন্তু এখানকার মানুষের আক্ষেপ, গত ১০ বছর ধরে তাঁদের অবস্থার বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি। আরও একটা বর্ষা এসে যাওয়ায় সেই আক্ষেপ যেন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী