পটাশপুর ১ নং ব্লকের চকগোপাল, পদিমা বেশ কয়েকটি গ্রাম নদীর জলে প্লাবিত। ঘর ছেড়ে রাস্তায় আশ্রয় নিচ্ছেন এলাকাবাসীরা। বেশ কিছু মাটির বাড়িতে জল ঢুকে গেছে। রাস্তাঘাট চলে গেছে জলের তলায়। ডুবে গেছে বহু পুকুর। ক্ষতিগ্রস্ত বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে অন্যের বাড়িতে বা উঁচু জায়গায়। প্রশাসনের তরফে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ত্রাণ শিবির। আগামী কয়েক ঘণ্টায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন পটাশপুরের মানুষজন।
advertisement
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত ২০২১ সালে কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল পটাশপুর ১ ও ভগবানপুর ১ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। ২০২৩ সালেও নিম্নচাপের বৃষ্টির কারণে একাধিক জলধার থেকে জল ছাড়ায় চরমসীমার উপর দিয়ে বইছে নদীর জল। লাগাতার বৃষ্টির কারণে জলমগ্ন বিভিন্ন এলাকা। প্রশাসন সূত্রের খবর পটাশপুরে এখনও পর্যন্ত ৩৭৫ মিলিমিটারের বেশী বৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছু বাড়িতে জল ঢুকে গেছে। তাদেরকে উদ্ধার করে উঁচু জায়গায় সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এদিন দুপুরের পর চরম বিপদসীমা অতিক্রম করে কেলেঘাই নদীর জলের স্তর। সাধারণ প্রশাসন ও সেচ দফতরের পাশাপাশি পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে পুলিশও। কেলেঘাই নদী বাঁধ পরিদর্শন করে পুলিশ আধিকারিকেরা।
Saikat Shee