আর এনিয়েই তৈরি হয়েছে যত কান্ড। গাছ বাঁচাতে আন্দোলনে নেমেছে স্থানীয় পরিবেশ প্রেমী সংগঠন। গাছের গায়ে নতুন গামছা বেঁধে ফুল মালা দিয়ে গাছকে রক্ষা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। হাওড়া বর্ধমান মেন শাখার বৈঁচীগ্রাম স্টেশনে প্রায় ১৮ টি বড় বড় গাছ কাটা হয়েছে। গাছের ডাল ছাঁটার নামে গোটা গাছটাকেই প্রায় কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। এক একটা গাছের শুধু কান্ডটাই দাঁড়িয়ে আছে। ফলে প্রচন্ড রোদে যাত্রীদেরও সমস্যা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার আইপিএলে আম্পায়ারিং করছেন চন্দননগরের ছেলে, গর্বিত করছেন বাংলাকে
বৈঁচিগ্রামের পরিবেশপ্রেমী সংগঠন আটচালার সদস্যরা আজ স্টেশনে গিয়ে বিক্ষোভে শামিল হয়। তাদের অভিযোগ গাছ ট্রিমিং এর নাম করে গোটা গাছই প্রায় কেটে ফেলা হয়েছে। বহু পুরনো রেল স্টেশনের এই গাছগুলোতে নানা ধরনের পাখির বাস। গাছের ডালপালা সব কেটে ফেলায় এই পাখিগুলো নিরাশ্রয় হয়েছে। পাশাপাশি রেলযাত্রী যারা স্টেশনে একটু ছায়ার সন্ধান করেন তারাও সমস্যায় পড়ছেন। যে গাছের ডালগুলো বিপদজনক বা তারের উপর ঝুঁকে আছে সেইগুলোকে কেটে দিলে কোন সমস্যা হত না বলে মনে করছেন সংগঠনের সদস্যরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত জানিয়েছেন, ঝড় বৃষ্টি হলে গাছের ডাল ভেঙে তারের উপর পরে তাতে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়। তাই প্রতিবছরই এই সময় স্টেশনের গাছের ডাল ছাঁটা হয়। গাছটা থেকে যায়। বর্ষার জল পড়লেই গাছ থেকে আবার ডালপালা গজিয়ে যায়। বুঝে শুনেই গাছ ট্রিমিং করা হয়। এখন ট্রিমিং করলে কতদিন পরে আবার ডাল গজাবে। এমনভাবে কাটা হয় না যাতে গাছটাই না থাকে। যারা গাছ কাটে তাদের সেরকমই নির্দেশ দেওয়া থাকে।
রাহী হালদার





