সূত্রের খবর , রেল পুলিশের স্পেশ্যাল চেকিং চলাকালীন দুন এক্সপ্রেস সন্দেহজনক দুই মহিলাকে আটক করে জিআরপি। তাদের কাছে ছিল কিছু ব্যাগ, যার মধ্যে কিছু সন্দেহজনক জিনিস রয়েছে এমনই মনে করেন পুলিশ কর্তারা। ঘটনার সূত্রপাত সকাল ৯.১৫ থেকে। চন্দননগর স্টেশনে এক নম্বর প্লাটফর্ম দুন এক্সপ্রেস এসে থামে। সেই সময় পুলিশের নজরে পরে দুই মহিলার সঙ্গে থাকা ছয়টি পিঠ ব্যাগ। মহিলাদের ব্যাগেকি আছে তা নিয়ে কথা বলতে গেলে, দুই মহিলার অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ হয় পুলিশের। তাদের ব্যাগ খুলে চক্ষু চড়ক গাছ রেল পুলিশের।
advertisement
আরও পড়ুন: অভিযুক্তদের তালিকা তৈরির নির্দেশ কমিশনের! জেলায় জেলায় এবার কী হতে চলেছে ভোটে?
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে এই দুই মহিলার একজনের নাম ডলি মণ্ডল বাড়ি হাঁসখালি থানা ও অন্যজন কল্পনা মণ্ডল ধানতলায় থানা এলাকার বাসিন্দা। এরা বিহারের দেহেড়ি জংশন থেকে উঠেছিল। কলকাতায় যাচ্ছিল কচ্ছপ গুলোকে বিক্রি করার উদ্দেশে। ব্যাগের মধ্যে থাকা কচ্ছপগুলোর ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে ১ কিলোর মধ্যে। আনুমানিক দাম হাজার টাকা প্রতি কচ্ছপের। শেওড়াফুলি জিআরপির চন্দননগরের দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ অফিসার উদ্ধার হওয়া কচ্ছপ গুলিকে চুঁচুড়ার বন দফতরের হাতে তুলে দেয়।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৩ হাজার বছরের পুরনো মমি আছে কলকাতায়! কোথায় জানেন? দেখতে গিয়েছেন কখনও? চমকে যাবেন
প্রসঙ্গত , এর আগে ২০২১ সালেও শ্রীরামপুর ও ব্যান্ডেল থেকে ১২৫ টি ও ৮০ টি কচ্ছপ উদ্ধার করেছিল রেল পুলিশ। এবারেও সূত্র মারফত পাচারের হদিশ পেয়ে এই বিপুল পরিমাণে কচ্ছপ উদ্ধার করে। পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে নানা ভাবে কচ্ছপ পাচার করে পাচারকারীরা। কোন সময় বিভিন্ন হোটেলে মাংসের জন্য। কোন সময় বিদেশে ও পাচার করা জন্য। বন্যপ্রাণীর কঠোর আইন থাকা সত্ত্বেও বেপরোয়া ভাবে চলে এই পাচার চক্র। নদীয়ার দুই মহিলাকে গ্রেফতার করে শেওড়াফুলি জিআরপি । শ্রীরামপুর আদালত দুই মহিলা কচ্ছপ পাচারকারীকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
—– রাহী হালদার