আলিপুর বোমা মামলায় দণ্ডিত ও সাজাপ্রাপ্ত অধিকাংশ বিপ্লবীই কালিতলার কালিমন্দিরে গীতা পাঠ ,মন্ত্র পাঠ করতেন বলে শোনা যায়। বিপ্লবীরা মন্ত্রে দীক্ষা নিতেন ও শক্তি সঞ্চয়ের জন্য শক্তি সাধনা করতেন বলে দাবি করেন ক্ষেত্র সমীক্ষক এবং ইতিহাসবিদরা। বাঁকুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র মাচানতলা থেকে সোজা নিচের দিকে নেমে যেতে হবে বড়কালিতলার দিকে, কালীতলা গার্লস হাই স্কুলের ঠিক বিপরীতে রয়েছে মন্দিরটি।
advertisement
কালীতলাতেই রয়েছে একটি বিপ্লবী বাড়ি। তৎকালীন অনুশীলন সমিতিগুলির অন্যতম। ব্রিটিশ পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এই বাড়িতেই আস্তানা ছিল নামজাদা সব স্বাধীনতা সংগ্রামীদের। এই বাড়ি থেকে মন্দিরের দূরত্ব খুব বেশি হলে ১০০ মিটারের একটু বেশি। বিপ্লবী বাড়িতে থেকেই মন্দিরে শক্তি সাধনা এবং লাঠিখেলা শিখতেন বিপ্লবীরা। এভাবেই বাঁকুড়ার মা কালির ছত্রছায়ায় তৈরি হয় দেশ স্বাধীন করার বিভিন্ন কাহিনী। বাড়ির ভিতরেই রয়েছে একটি গুপ্তকক্ষ। সেখানে রাখা থাকত বিপ্লবীদের আগ্নেয়াস্ত্র।
এলাকার বড় কালিতলা মন্দিরে শক্তি পুজো করতেন বিপ্লবীরা। বিপ্লবীদের মন্ত্রগুপ্তি এই মন্দিরেই। আলিপুর বোমা মামলায় বিশ্বাসঘাতক নরেন গোঁসাইয়ের মন্ত্রগুপ্তি ঘটে এই মন্দিরেই, বৈপ্লবিক বাড়ি থেকে খুব কাছেই মন্দিরটি এবং বড় কালীতলা মন্দিরের জন্য এই এলাকার নাম বড়কালীতলা।