মৃন্ময়ী দেবীমূর্তির বিসর্জন হয় না এই বনেদি বাড়িতে। বরং পুজো শেষে দেবীমুর্তিকে সযত্নে রাখা হয় মন্দিরে। চলে দেবীর নিত্যপুজো। শুধু তাই নয়, বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণে অন্যান্য দেবদেবীর পুজো-অর্চনাও চলে মন্দিরে। আর এটাই ঐতিহ্যবাহী ‘পণ্ডিত’ বাড়ির দুর্গাপুজোর রীতি। এভাবে এক বা দু’বছর নয়, বছরের পর বছর পুজো হয়ে আসছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম পুজোর দায়িত্বভার পাল্টে গেলেও, পাল্টায়নি পুজোর রীতি। গত ৯০ বছরের বেশি সময় ধরে এমনটাই হয়ে আসছে এই পুজোয়।
advertisement
আরও পড়ুন : ডলবি ডিজিটালের যুগেও হারিয়ে যায়নি সেই আওয়াজ! বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র আর রেডিওর জুটি আজও অটুট
ফলে বছরের যে কোনও সময় এই মন্দিরে এলে দেবী দুর্গাকে দেখতে পাওয়া যায়। আর সেটাই দেখে আসছেন এলাকার মানুষও। জয়নগরের বহডু ক্ষেত্র গ্রাম। ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক-চর্চার পীঠস্থান হিসাবে এই গ্রামের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এখানেই বেশ কয়েকটি বাড়ির দুর্গাপুজো ঐতিহ্যে ও নিজস্বতায় মানুষের কাছে আজও বিশেষ আকর্ষণীয় হয়ে রয়েছে। তার মধ্যেই পড়ে বহডু ব্যানার্জিপাড়ার পণ্ডিত বাড়ির পুজো।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পণ্ডিত বাড়ির তরফে বিপ্লব চক্রবর্তী জানান, বাংলার ১২৯৪ সাল থেকে এই দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল। তখন পুজো শেষে প্রতিমা নিরঞ্জন হত। কিন্তু ১৩৩৪ সাল থেকে প্রতিমা বিসর্জন বন্ধ হয়ে যায়। তবে ঘট ও কলাবৌ বিসর্জন দেওয়া হয়। তখন থেকেই মাটির তৈরি মূর্তিটি পুজো হয়ে আসছে। প্রতিবছর দুর্গাপুজোর আগে নতুন রং করা হয় এবং সাজ পাল্টানো হয়। কথিত আছে তাঁদের পূর্বপুরুষ কৃষ্ণগোপাল পণ্ডিত প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়েছিলেন। প্রতিমার মাথায় সাপ উঠে গিয়েছিল। তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। তখন থেকেই এই প্রতিমার বিসর্জন বন্ধ হয়ে যায়। সেই মাটির মূর্তি আজও পুজো হয়ে আসছে এখানে।





