হুগলিতে শুরু হয়েছে ৩৯ তম তাঁত বস্ত্র মেলা। তাঁত শিল্পীদের পুজোর আগে উজ্জীবিত করতে প্রতি বছরই হয় এই মেলার আয়োজন। এই বছর সেই মেলার সূচনা করেন রচনা।
মেলা ঘুরে নিজেই কেনাকাটি করেন তাঁতের শাড়ি ও হ্যান্ডলুম ব্যাগ। সেখান থেকেই হুগলিবাসীদের উৎসবে ফেরার আহ্বান জানান রচনা। একই সঙ্গে জুনিয়ার চিকিৎসকদের কাজে ফেরার ডাক দিলেন তিনি।
advertisement
নির্যাতিতার বিচার অধরা। আন্দোলন থেকে এখনও পিছু হটেননি জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই প্রসঙ্গে হুগলির সাংসদ জানান, ‘‘আমি কোনওদিন বলিনি যে তাঁরা ভুল কাজ করছেন৷ আমি সব সময় তাদের সঙ্গে আছি, পাশে রয়েছি৷ আমরা সকলেই বিচার চাইছি । আমরা চাই দোষী শাস্তি পাক এবং তাকে সাজা দেওয়া হোক। তার জন্যই এই আন্দোলন প্রতিবাদ। সেটাকে আমরা সমর্থন করি। শুধু আমি নই আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও তাঁদের পাশে আছেন।’’
আরও পড়ুন: পুজোর মুখে বাজারে এবার ট্রেন্ডিং ক্রিস্টালের ব্যাগ! তৈরি করে স্বনির্ভর হচ্ছেন মহিলারা
তিনি আরও জানান, ‘‘যদিও চিকিৎসকদের কর্ম বিরতির জন্য অনেক মানুষ দুঃখ পাচ্ছেন, কষ্ট পাচ্ছেন। অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তাঁদের কথা ভেবে দেখলে ভাল হয়। তাই জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে আমার করজোড়ে আবেদন, আন্দোলন থাকবে আন্দোলন করুন, কিন্তু কাজে ফিরে আসুন।’’
মুখ্যমন্ত্রী আগেই উৎসবে ফিরের কথা বলেছিলেন৷ সেই প্রসঙ্গে রচনা বলেন, ‘‘আমি, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ , তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা মনে করি দিদি যা বলেন তিনি চিন্তা ভাবনা করেই কথা বলেন৷’’
হুগলির সাংসদের আরও বক্তব্য, পুজোর সঙ্গে শুধু আনন্দ নয় প্রচুর মানুষের ব্যথা,বেদনা, শ্রম সবকিছু জড়িয়ে রয়েছে। উৎসব এলে অনেক মানুষের রুটি- রোজগার করে সংসার চলে তাই সেটাকে ভুলে গেলে হবে না।
চুঁচুড়া মাঠে আজ থেকে শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ৩৯ তম ‘শারদীয়া তাঁত বস্ত্র মেলা’। সেই মেলার উদ্বোধন করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়,ছিলেন বিধায়ক অসীমা পাত্র,অসিত মজুমদার,জেলা শাসক মুক্তা আর্য। মেলা ঘুরে শাড়ি ব্যাগ সালোয়ার কামিজ গামছা কেনেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাহী হালদার