তারই তত্ত্বাবধানে এই পুজোর সূচনা হয়। রাজবাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে পাহাড়ি হেঁসলা নদী থেকে দেবী দুর্গার ঘট-বারি আনা হয়৷ ঢাক বাদ্যের সঙ্গে বন্দুকের গুলি চালিয়ে রাজা ওই নদীতে ডুব দিয়ে ঘট আনতেন৷ বর্তমানেও সেই একই প্রথা চালু রয়েছে ৷ তবে বন্দুকের গুলির বদলে শব্দবাজি ফাটান হয়৷ কথিত আছে, এই রাজপরিবারের দুর্গা পুজো থেকেই উৎপত্তি হয়েছে ছৌ নৃত্যের৷
advertisement
আরও পড়ুন : দুর্গাপুজোয় দিঘার নতুন চমক! সমুদ্র শহরে বদ্রিনাথ মন্দির দেখে অবাক হবেন আপনিও
বর্তমানে না আছে রাজা, না আছে রাজত্ব। আছে শুধু রাজপ্রাসাদ, কাছারিবাড়ি, ঠাকুরদালান, নাটমহল এবং পুকুরগুলি৷ তবুও ঐতিহ্য ও সাড়ম্বরের সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে দুর্গাপুজো। এ বিষয়ে বর্তমান রাজ পরিবারের উত্তরসূরী কুন্দপনারায়ণ সিংহদেও বলেন, রাজতন্ত্রের অবসান ঘটলেও দুর্গাপুজোয় এই রাজবাড়ির জৌলুস অনেকটাই ধরে রেখেছেন তারা। পূর্বপুরুষদের তৈরি করা নিয়ম রীতি মেনেই দুর্গাপুজো হয়ে আসছে এখানে।
আরও পড়ুন : পতিত জমি থেকে হবে ব্যাপক লাভ! সার ছাড়া চাষেই প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা আয়
আজও বহু মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন এই পুজোর। এই পুজো পুরুলিয়ার ঐতিহ্য। এ বিষয়ে স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা বলেন , ধুমধামের সঙ্গে প্রতিবছর এখানে দুর্গাপুজো হয়। তাদের গ্রামের একটি মাত্র পুজো এটি। পুজোতে দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই এই রাজবাড়িতে আসেন। একদিনের রাজা হওয়া রীতিও প্রচলিত রয়েছে এই রাজবাড়িতে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জেলার পুরোনো ঐতিহ্যবাহী পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম হেঁসলা রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। প্রাচিন এই দুর্গাপুজোকে ঘিরে মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। পর্যটকদের খুবই পছন্দের এই পুজো। তাই যারা দুর্গাপুজোর সময় পুরুলিয়া প্ল্যান করেন তারা একবার হলেও ঢু-মেরে যান এই রাজবাড়ি থেকে।





