প্রায় ২৩৩ বছর আগে ১৭৯২ সালে রাজা মনিলাল সিং দেওয়ের মৃত্যুর পর তার সমাধি স্থাপন করা হয় বাঁধের ঠিক মাঝখানে। জলের মধ্যে আজও সেই সমাধি অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। যা আজ পুরুলিয়া জেলার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে বিবেচিত। ১৭৯২ সালের সেই ইতিহাসকে লিপিবদ্ধ করে রাখা কাশীপুর এলাকার বিশিষ্ট লোকশিল্পী ষষ্ঠীপদ বাউরি দিয়েছেন তথ্য।
advertisement
আরও পড়ুন : প্রতিমা, মণ্ডপ ছেড়ে নজর ধূপকাঠিতে! যেন ‘একাই একশো’, কাঁপিয়ে দিচ্ছে গোটা এলাকা! একটানা জ্বলবে পাঁচদিন
তিনি বলেছেন “কাশীপুরের এই বড়বাঁধ আজ এলাকার একটি ঐতিহ্যবাহী বাঁধ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বড়বাঁধের ঠিক মাঝখানে এক বৃহৎ মন্দির রয়েছে, যা সেই সময়ে রাজার সমাধি স্থাপনের পর তৈরি হয়েছিল। এটি এখন কেবলমাত্র একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান নয়, বরং এলাকাবাসীদের কাছে এক গর্বের নিদর্শন।” বছরের বেশিরভাগ সময় দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এই ঐতিহাসিক স্থানে আসেন রাজার সমাধি দর্শন করতে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই সমাধিস্থল আজও লোকজনের কাছে একটি প্রিয় স্থান হিসেবে পরিচিত। যা কেবল ঐতিহাসিক গুরুত্বই বহন করে না, বরং এলাকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকেও অটুট রাখে। বর্তমানে সমাধি স্থলের মন্দিরটি জলের মধ্যে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গিয়েছে। কাশীপুর এলাকার মানুষজনের দাবি, এই ঐতিহ্যবাহী স্থানের সংরক্ষণ ও সংস্কার করা হোক। যাতে পঞ্চকোট রাজবংশের ইতিহাস এবং কাশীপুরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আগামী প্রজন্মের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছতে পারে।






