তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা বুঝতে পেরেছেন, সাপকে বন্দি করে রেখে খেলা দেখানো শুধু যে নৈতিকভাবে ভুল তা নয়, আইনতও একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। এই উপলব্ধি থেকেই স্বেচ্ছায় তারা তাদের ঐতিহ্যবাহী পেশা থেকে সরে এসেছেন। বর্তমানে ভিক্ষা করে চলছে তাদের সংসার।
advertisement
পুরুলিয়ার ডুংরি কলোনির বাসিন্দা সাপুড়ে সিদাম বেদিয়া ও অতুল বেদিয়ারা জানান, “আগে আমরা বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গিয়ে সাপ খেলা দেখাতাম। তখন এটাই ছিল আমাদের বংশগত পেশা। কিন্তু এখন আমরা আর সাপ খেলা দেখাই না। আমরা বুঝেছি সাপকে বন্দি করে রাখা তাদের কষ্ট দেওয়ার সমান এবং আইনেও এটি অপরাধ। তাই এই পেশা আমরা ছেড়ে দিয়েছি।”
তবে পেশা পরিবর্তনের পর জীবিকার বিকল্প পথ না থাকায় বর্তমানে ভিক্ষাবৃত্তিই তাদের প্রধান আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি বিভিন্ন সহায়তায় আজ অনেকটাই উপকৃত ডুংরি কলোনির বাসিন্দারা। সরকারি ভাতা, বিনামূল্যে চালের সুবিধা থেকে শুরু করে বসবাসের জন্য পাট্টা, এই সবকিছুই তাদের জীবনযাত্রায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তারা জানান, সরকারের এই সহানুভূতিশীল উদ্যোগ না থাকলে তাদের পক্ষে সংসার চালানো আরও কঠিন হয়ে পড়ত। সচেতনতার আলোয় আজ ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে ডুংরি কলোনির জীবন। ঐতিহ্যবাহী কিন্তু অমানবিক ও বেআইনি পেশা থেকে সরে এসে নতুন পথে হাঁটার চেষ্টা করছেন সাপুড়েরা।





