তাইতো তাদের সন্ধানে থাকে পেটপুজোর নানান ঠিকানা। আর সেই সমস্ত মানুষদের জন্য এবার লাল মাটির জেলার পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে ভুরিভোজের একটি সেরা ঠিকানা হল, অযোধ্যা পাহাড়ের একটি বেসরকারি বিলাসবহুল রিসর্টের রেস্তোরাতে নিয়ে আসা হয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বেশ কিছু খাবার।
advertisement
একেবারে ষোল আনা বাঙালি মানভূইয়া ও উপজাতিদের থালি নিয়ে আসা হয়েছে এই খাদ্য তালিকায়। পর্যটকদের পাতে উষ্ণতা ছড়িয়ে মাটির ঘ্রাণদিতে এখানে কাঠের উনুনে রান্না করা হয়। সমস্ত বাটা মশলা দিয়ে রান্না করা হয় এখানে। তিন ধরনের থালিতে এই বাঙালি খাবারের ভ্যারাইটি এসেছে। কাঁসার থালা গ্লাস বাটিতে এই থালি পরিবেশন করা হচ্ছে। মাটিতে বসে উঁচু টুলে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়ার সুযোগ রয়েছে। যারা খাবার পরিবেশন করছেন তাদের পরনে থাকছে ধুতি পাঞ্জাবি ও কোমরে থাকছে গামছা।
এ বিষয়ে ওই রেস্তোরাঁ সেফ বলেন, অযোধ্যা পাহাড়ের মানুষদের যে মানভূম খাবার রয়েছে সেটাকেই আমরা থালির মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যাতে পর্যটকেরা অযোধ্যা পাহাড়ের অথেন্টিক খাবারের স্বাদ পেতে পারেন। মরশুমের বিভিন্ন সবজি ও শাক থাকে এই থালিতে। আদিবাসী কালচার ও আদিবাসী খাওয়া-দাওয়ায় ছোঁয়া রয়েছে এই রেস্তোরাঁয়। মাত্র ৫৫০ টাকা থেকে এই থালি শুরু হচ্ছে। এই রিসোর্টে যারা থাকছেন তাদের জন্য তো এই থালির ব্যবস্থা রয়েছেই এছাড়াও দূর থেকে আশা পর্যটকেরাও এই থালির স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন।
অযোধ্যা পাহাড়ে সারাটা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। বছরে যে কোনও সময়ই পর্যটকেরা প্ল্যান করে থাকেন অযোধ্যা পাহাড়ের জন্য। সামনেই বসন্ত উৎসব এই সময়টাতে পাহাড়ে পর্যটকদের ঢল আরও বাড়ে। তাই এবারে অযোধ্যা পাহাড় বেড়াতে আশা পর্যটকদের জন্য রয়েছে পুরুলিয়ার এই ট্রাডিশনাল থালি। ইতিমধ্যেই পর্যটকদের মধ্যে এই থালির যথেষ্ট সাড়া মিলেছে।
শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়