একের পর এক ছাগল শিকার করছে সে। তাই আরও সজাগ হচ্ছে ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞ কমিটি ও বনদফতর। বাঘিনী যাতে গ্রামে ঢুকে কোনও গবাদি পশুর বা কোনও গ্রামবাসীর উপর হামলা চালাতে না পারে সেই কারণেই এই জাল বিছানোর কাজ শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে সুন্দরবন স্পেশ্যাল টিমের আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, পাহাড়তলির এই গ্রামে কয়েকটি পরিবারের বসতি। কোনওভাবেই যাতে বাঘিনী তাদের উপর হামলা চালাতে না পারে বা কোনও গবাদি পশুর কোনও ক্ষতি না হয় সেই কারণেই সুন্দরবনের ধাঁচে জাল দিয়ে গ্রাম ঘিরে ফেলা হচ্ছে। অর্থাৎ সুন্দরবনে বাঘের হাত থেকে মানুষ ও গবাদি পশুকে বাঁচাতে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেই একই পথ অবলম্বন করা হচ্ছে রাহামদা গ্রামেও।
advertisement
বন দফতরেররের এই পদক্ষেপ খুবই ভালো। এতে বাঘ তাদের গ্রামে ঢুকতে পারবে না। কিছুটা হলেও এতে নিশ্চিন্ত হচ্ছেন গ্রামবাসীরা। শনিবার মধ্যরাতে বেলপাহাড়ি থেকে সরাসরি পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়ের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে বাঘিনী। তাকে জালে ফেলতে দেওয়া হয়েছে একাধিক লোভনীয় টোপ তবুও বনদফতরের পাতা ফাঁদে পা দেয়নি সে।
কিন্তু কতদিনই বা না খেয়ে থাকবে, রয়্যাল বেঙ্গল বাঘিনী। আর তাই মঙ্গলবার একের পর এক ছাগল শিকার করতে শুরু করে জিনাত। আর এটি ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছে রাইকা পাহাড়তলি এলাকার মানুষজন। তাদেরকেই সুরক্ষিত রাখতে বনদফতরের এই পদক্ষেপ। কারণ বাঘ কিংবা মানুষ কারোরই কোনও ক্ষতি হোক এমনটা চাইছে না বনদফরতর।
—- শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি