প্রায় ২০ বছর আগে গণেশ কর্মকারের মৃত্যুর পর তার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জানাতে গ্রামবাসীরা গ্রামের একমাত্র পাহাড়পুর মোড়ের নাম বদলে রাখেন ‘শিয়াল মোড়’। এই নাম শুধু একটি মোড়ের পরিচয় পাল্টায়নি, এটি মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী করে দিয়েছে এক বিরল প্রতিভা শিল্পীর স্মৃতি।
আরও পড়ুন: পোস্টাল ব্যাঙ্কিং থেকে সুকন্যা, ডাক সেবায় দারুণ সাফল্য! মালদহে ২৭ পোস্টমাস্টারের হাতে বিশেষ সম্মান
advertisement
আজও কেউ যখন ‘শিয়াল মোড়’ নামটি উচ্চারণ করেন, তখন যেন অজান্তেই স্মরণ করেন সেই মানুষটিকে, যিনি নিজের শিল্প দিয়ে পুরো এলাকাকে একসময় আনন্দে ভরিয়ে তুলেছিলেন। স্বর্গীয় গণেশ কর্মকারের ছেলে শরৎ কর্মকার ও পুত্রবধূ বাসকী কর্মকার জানিয়েছেন, “এলাকাবাসী বাবার প্রতি ভালবাসা থেকে মোড়ের নাম ‘শিয়াল মোড়’ রেখেছেন, এটা তাঁদের কাছে গর্বের।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তাঁদের কথায়, “বাবা আজ আমাদের সঙ্গে নেই, কিন্তু এই মোড় যেন তাঁর স্মৃতি হয়ে রয়ে গিয়েছে। তিনি এতটাই নিখুঁতভাবে শিয়ালের ডাক দিতেন যে অনেকেই তাঁর আসল নাম জানতেন না। সবাই তাঁকে শিয়াল বলেই চিনতেন। তাই বাবার মৃত্যুর পর ভালবেসে এই মোড়ের নাম পরিবর্তন করে ‘শিয়াল মোড়’ রেখেছেন এলাকাবাসীরাই।” এভাবেই পাহাড়পুরের মানুষ আজও শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় স্মরণ করেন তাঁদের প্রিয় হরবোলা গণেশ কর্মকারকে।





