TRENDING:

Purulia Mushroom Farming: প্রোটিন, ভিটামিনের খনি...! নিংড়ে বের করে কোলেস্টেরল, বাগে রাখে সুগার, শুধু বর্ষা নয়, এবার এই বিশেষ খাবার মিলবে সারা বছর

Last Updated:

Purulia Mushroom Farming: পুষ্টিবিদদের মতে, এই খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ লবণ, অ্যামাইনো অ্যাসিড ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পুরুলিয়া: শুধু বর্ষাতেই নয়, সারা বছর এবার মাশরুম পাওয়া যাবে পুরুলিয়ার বন্দোয়ানে। সারা বছর ধরে মাশরুম চাষ করবে বন্দোয়ানের বিভিন্ন গ্রামের মানুষজন। মাশরুমের পোয়াল ছাতু প্রজাতিটি উৎপাদনে উদ্যোগী হয়েছে বাইরের একটি বেসরকারি সংস্থা। ‘পোয়াল’ শব্দের অর্থ হল খড়। মূলত খড়ের সাহায্যে উৎপন্ন করা হয় বলে এই মাশরুম ‘পোয়াল ছাতু’ নামেও পরিচিত। নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই তৈরি করা হচ্ছে খাওয়ার উপযোগী এই মাশরুম। যে মাশরুম চাষের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন বান্দোয়ানের বিভিন্ন গ্রামের একাধিক কৃষক।
advertisement

বাজারে বিপুল চাহিদা থাকায় বর্তমানে এই মাশরুম চাষ বেশ নজর কেড়েছে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের মানুষজনদের। উদ্যোক্তাদের দাবি, পরীক্ষামূলক এই পদ্ধতিতে বছরভর মাশরুম উৎপাদন করা সম্ভব হবে। তার সঙ্গে বহু মানুষের কর্মসংস্থানও হবে। পুষ্টিবিদদের মতে, মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ লবণ, অ্যামাইনো অ্যাসিড ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। শরীরে কোলেস্টেরল কমান, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে মাশরুমের জুড়ি মেলা ভার। ডায়াবিটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও মাশরুম বিশেষ উপযোগী। ফলে আট থেকে আশি সকলেরই মাশরুমের চাহিদা রয়েছে। মাশরুমের নানা প্রজাতি রয়েছে। তার মধ্যে বান্দোয়ানে মূলত পোয়াল ছাতুর চাষ করা হচ্ছে।

advertisement

আরও পড়ুন: ৪ মাস নিখোঁজ…! তন্নতন্ন করে খুঁজেও মেলেনি, উদ্ধার করল পুরুলিয়া পুলিশ, কেঁদে ভাসালেন উত্তরপ্রদেশের পরিবার

এই চাষের জন্য প্রয়োজন ছায়াযুক্ত জায়গা, ধানের খড়, বাঁশ, ইঁট দিয়ে তৈরি মাঁচা, ডালের গুঁড়ো, সাদা পলিথিন চাদর ও জল দেওয়ার ঝাঁজরি। এক্ষেত্রে প্রথমেই ভাল মানের স্পন বা বীজ সংগ্রহ করতে হবে। এক একটি স্তূপের জন্য ২০-২৫ কেজি খড় প্রয়োজন হয়। খড়ের ডগা থেকে কিছু অংশ কেটে বাদ দিয়ে ২০০-২৫০ গ্রাম ওজনের ছোট ছোট আঁটি বানাতে হয়। এই আঁটিগুলি ১২-১৬ ঘণ্টা পরিষ্কার জলে ভিজিয়ে রাখা হয়। তার পর জল ঝরিয়ে পাটাতনের উপরে সমান চারটি স্তরে আড়াআড়ি ভাবে খড় সাজিয়ে স্তুপ তৈরি করা হয়। স্তুপ তৈরির সময়ে প্রতিটি স্তরের মাঝে এক ভাগ স্পন বা মাশরুমের বীজ ও এক ভাগ ডালের গুঁড়ো মিশিয়ে ছড়িয়ে দিতে হয়। প্রতিটি স্তরে দু’শো গ্রাম করে বীজ ও ডালের গুঁড়ো রাখতে হয়। এর পরে সাদা পলিথিন চাদর দিয়ে স্তুপটি ঢেকে দেওয়া হয়।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

এভাবে ৮-১০ দিন রাখলেই স্তুপে ছত্রাকের কুঁড়ি জন্মাবে। তার পরে পলিথিনের ঢাকা খুলে দিতে হবে ও সকাল-বিকেল প্রয়োজন মত স্তুপে জল ছেটাতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে মাশরুম তোলার উপযুক্ত হয়। মাশরুম তোলার পাঁচ সাত দিন পর থেকে আরও ১৫ দিন পর্যন্ত অল্প অল্প ছাতু উৎপন্ন হয়। এক একটি স্তুপ থেকে ৪ থেকে ৫ কেজি ছাতু পাওয়া যায়।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
৪২০ বছরের প্রথা! একাদশীতে ১২ ঘণ্টার যাত্রার পর জঙ্গিপুরে পেটকাটি দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন
আরও দেখুন

শান্তনু দাস

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Purulia Mushroom Farming: প্রোটিন, ভিটামিনের খনি...! নিংড়ে বের করে কোলেস্টেরল, বাগে রাখে সুগার, শুধু বর্ষা নয়, এবার এই বিশেষ খাবার মিলবে সারা বছর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল