বাজারে বিপুল চাহিদা থাকায় বর্তমানে এই মাশরুম চাষ বেশ নজর কেড়েছে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের মানুষজনদের। উদ্যোক্তাদের দাবি, পরীক্ষামূলক এই পদ্ধতিতে বছরভর মাশরুম উৎপাদন করা সম্ভব হবে। তার সঙ্গে বহু মানুষের কর্মসংস্থানও হবে। পুষ্টিবিদদের মতে, মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ লবণ, অ্যামাইনো অ্যাসিড ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। শরীরে কোলেস্টেরল কমান, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে মাশরুমের জুড়ি মেলা ভার। ডায়াবিটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও মাশরুম বিশেষ উপযোগী। ফলে আট থেকে আশি সকলেরই মাশরুমের চাহিদা রয়েছে। মাশরুমের নানা প্রজাতি রয়েছে। তার মধ্যে বান্দোয়ানে মূলত পোয়াল ছাতুর চাষ করা হচ্ছে।
advertisement
এই চাষের জন্য প্রয়োজন ছায়াযুক্ত জায়গা, ধানের খড়, বাঁশ, ইঁট দিয়ে তৈরি মাঁচা, ডালের গুঁড়ো, সাদা পলিথিন চাদর ও জল দেওয়ার ঝাঁজরি। এক্ষেত্রে প্রথমেই ভাল মানের স্পন বা বীজ সংগ্রহ করতে হবে। এক একটি স্তূপের জন্য ২০-২৫ কেজি খড় প্রয়োজন হয়। খড়ের ডগা থেকে কিছু অংশ কেটে বাদ দিয়ে ২০০-২৫০ গ্রাম ওজনের ছোট ছোট আঁটি বানাতে হয়। এই আঁটিগুলি ১২-১৬ ঘণ্টা পরিষ্কার জলে ভিজিয়ে রাখা হয়। তার পর জল ঝরিয়ে পাটাতনের উপরে সমান চারটি স্তরে আড়াআড়ি ভাবে খড় সাজিয়ে স্তুপ তৈরি করা হয়। স্তুপ তৈরির সময়ে প্রতিটি স্তরের মাঝে এক ভাগ স্পন বা মাশরুমের বীজ ও এক ভাগ ডালের গুঁড়ো মিশিয়ে ছড়িয়ে দিতে হয়। প্রতিটি স্তরে দু’শো গ্রাম করে বীজ ও ডালের গুঁড়ো রাখতে হয়। এর পরে সাদা পলিথিন চাদর দিয়ে স্তুপটি ঢেকে দেওয়া হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এভাবে ৮-১০ দিন রাখলেই স্তুপে ছত্রাকের কুঁড়ি জন্মাবে। তার পরে পলিথিনের ঢাকা খুলে দিতে হবে ও সকাল-বিকেল প্রয়োজন মত স্তুপে জল ছেটাতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে মাশরুম তোলার উপযুক্ত হয়। মাশরুম তোলার পাঁচ সাত দিন পর থেকে আরও ১৫ দিন পর্যন্ত অল্প অল্প ছাতু উৎপন্ন হয়। এক একটি স্তুপ থেকে ৪ থেকে ৫ কেজি ছাতু পাওয়া যায়।
শান্তনু দাস