চিকিৎসক পরীক্ষা করে বুঝতে পারেন, ওই ব্যক্তি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। খবর চাউর হতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী ও রোগীর পরিজনেরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতাল থেকে দু’বার পালিয়ে যান রামকানাই। থানায় খবর গেলে পুলিশ প্রশাসন ওই ব্যক্তিকে বরাবাজার ব্লক সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করে ফের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। বরাবাজার থানার পুলিশ হাসপাতালেই পাহারার ব্যবস্থা করে।
advertisement
পরে তাকে চিকিৎসার জন্য পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে মায়ের সঙ্গে পালিয়ে যান তিনি। একটি বেসরকারি বাসে করে বাড়ির পথে রওনা দেন ওই ব্যক্তি। মুদিডি গ্রামের কাছে বাসের মধ্যে ওই ব্যক্তি বৃদ্ধা মায়ের কাছে ছটফট করতে করতে মারা যান।
আরও পড়ুনঃ কলাভবনে ফিরছে গৌরী ভঞ্জ, যমুনা সেনদের ঐতিহ্য! বিশ্বভারতীর কয়েক দশকের শূন্যতা মুছছেন শিক্ষিকারা
এ বিষয়ে মৃতের পরিবারের সদস্যরা বলেন, কয়েক মাস আগেই রামকানাইকে কুকুরে কামড়ে ছিল। কিন্তু সেই সময় তার কোনও চিকিৎসা হয়নি। পরবর্তীতে তার অতিরিক্ত জ্বর হয় ও জলাতঙ্কের নানান উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়। সেই সময় বরাবাজার স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বারংবার সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে। অবশেষে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে পালানোর সময় বাসের মধ্যেই মৃত্যু হয় তার।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ বিষয়ে বরাবাজারের বিএমওএইচ ড.শুভাশিস মুদি বলেন, ওই ব্যক্তি তাদের হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওনার যা উপসর্গ ছিল তা জলাতঙ্কের মতোই। উনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় বারবার হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। রাস্তাতে বাসের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়েছে।





