২০১৬ সালের বিধানসভার ভোটের আগে শুরু হয়েছিল সেতু তৈরির কাজ। শিলন্যাসের পর পেরিয়ে গিয়েছে নয় নয়টি বছর। কংসাবতী নদীর উপর দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। ভোটের পরে ভোট এসেছে। বারবার মিলেছে প্রতিশ্রুতি। তবুও সেতু তৈরি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি করেছিলেন বাঁশের অস্থায়ী সেতু। কিন্তু নিম্নচাপের জেরে ভেসে গিয়েছে সেই বাঁশের সাঁকো। তাই নিরুপায় হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভেলায় করে নদী পারাপার করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এইভাবে তাদের নানান সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তাই তারা অবিলম্বে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ব্লক, জেলা পরিষদকে বলে বলেও হয়নি! শেষে রাস্তা সংস্কার নিয়ে বড় পদক্ষেপ, যা করল পঞ্চায়েত
পুরুলিয়ার কাটাবেড়া-বামুনডিহা ঘাটে সেতুর দাবি দীর্ঘদিনের। সেই দাবি মেনে বিধানসভা ভোটের আগে কংসাবতী নদীর উপর পুরুলিয়া এক নম্বর ব্লকের কাটাবেড়া ও আড়শা ব্লকের বামুনডিহা ঘাটে সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। সেই সময় সেতুর শিলন্যাস করেন তৎকালীন প্রাক্তন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো।পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ থেকে বরাদ্দ করা হয় ৯ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা। কাজের দায়িত্ব পায় ম্যাকিনটস বার্ন লিমিটেড নামে একটি সংস্থা। কাজের সময় সীমা ছিল দু-বছর। প্রথম এক বছর দ্রুতগতিতে কাজ হলেও ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে অজ্ঞাত কারণে থমকে যায় সেতু তৈরির কাজ। মাঝপথে সেতুর কাজ থমকে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছে তিনটি বিধানসভার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সেতুর কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেই ‘সেতু নির্মাণ সংগ্রাম কমিটি’ গড়ে বিভিন্ন জায়গায় দরবার করা হয়েছে। কিন্তু কাজ আর এগোয়নি। এই পরিস্থিতিতে ফি বর্ষায় বাঁশের অস্থায়ী সেতু বানিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়েই নদী পেরোতে হয় এলাকাবাসীদের। এই বছরেও কয়েকদিন ধরে পরিশ্রম করে তারা তৈরি করেছিলেন বাঁশের সাঁকো। কিন্তু বৃষ্টিতে সেই সাঁকো ভেঙে গিয়ে দুর্দশা বাড়িয়েছে তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভেলায় করেই চলছে নিত্য যাতায়াত।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি