পুরুলিয়া জেলার সাঁতুড়ির কোটালডি গ্রামের সরল-সাধা পরিবেশে বেড়ে ওঠা ঈশিতার ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল একজন চিকিৎসক হওয়ার। প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে বলে অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন, ঈশিতা বোধ হয় জীবনে বড় কিছু করতে পারবে না। কিন্তু সমাজের এই সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি আজ ঈশিতা নিজের সাফল্যের মাধ্যমে ভেঙে দিয়েছে। তার বিশ্বাস, “নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে সমাজের সংকীর্ণতা নয়, আত্মবিশ্বাস আর কঠোর পরিশ্রমই হয় সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি।”
advertisement
আরও পড়ুন: ইসকন মায়াপুরে কেমন হল রাধাষ্টমী মহোৎসব? ছবিতে দেখুন, দেখলে মন চাইবে ছুটে যেতে
পুরুলিয়ার ঈশিতার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ছোটবেলা থেকেই নারীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যাগুলো তাকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলত। সেই থেকেই সে ঠিক করে ফেলে, বড় হয়ে সে হবে একজন গাইনোকোলজিস্ট, এমন একজন চিকিৎসক যিনি সমাজের প্রান্তিক নারীদের পাশে দাঁড়াবে, তাঁদের স্বাস্থ্য ও মর্যাদার সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ঈশিতার শিক্ষাজীবনের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান তার বাবা আদিত্য প্রসাদ মণ্ডল ও মা ঝুমা গোপ মন্ডলের। দু’জনেই প্রথম থেকে মেয়ের শিক্ষাজীবনের প্রতি ছিলেন অত্যন্ত যত্নশীল ও সমর্থনশীল। ঈশিতার এই যাত্রা শুধুমাত্র তার একার সাফল্য নয়, এটি প্রত্যন্ত গ্রামের ছাত্রছাত্রীদের কাছে এক জীবন্ত প্রেরণা, যারা প্রতিদিন প্রতিকূলতাকে জয় করে এগিয়ে যেতে চায়।