বেশ কিছুদিন ধরে রামবাঁধ পাড়া এলাকায় পুকুর ভরাটের কাজ চলছিল। এই বিষয়টি পুরুলিয়া পুরসভার নজরে আসতেই ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যেই ওই পুকুরের মালিকানায় থাকা লোকজন আদালতের দ্বারস্থ হন। তারপর থেকেই ওই পুকুরটি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। এছাড়া তার পাশেই কমলাবাঁধ ভরাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ মৎস্য দফতর, সাধারণ প্রশাসন ও পুরুলিয়া পুরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ নেবে বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সমগ্র জেলাজুড়ে কোথায় কোথায় জলাশয় রয়েছে আমরা তার একটা তথ্যপঞ্জি তৈরি করব। যাতে সহজেই নজরদারি চালিয়ে পুকুর ভরাটের কাজ দ্রুত রোখা যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: পানীয় জলের কলের মাথায় বসেছে মিটার, বিল আসার দুশ্চিন্তায় পুরবাসী
পুরুলিয়া শহরের যে এলাকায় জলাশয় বুজিয়ে দেওয়ার খবর আমাদের কাছে এসেছে এই বিষয়টিতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরেই পুরুলিয়ার তিন পুর শহর পুরুলিয়া, ঝালদা ও রঘুনাথপুরে পুকুর ভরাট করে নির্মাণ কাজ চলছে বলে অভিযোগ। এই তিন পুর শহরেই পুরসভা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শেষমেষ কোনও না কোনও কারণে ফলপ্রসূ হয় না। ফলত জলাভূমি বুজে যায়। পুরুলিয়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রামবাঁধ পাড়া এলাকায় এই পুকুর ভরাটের পেছনে জমির মালিকরাই যুক্ত রয়েছেন। এ বিষয়ে পুরুলিয়ার পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি বলেন, পুকুর ভরাট নিয়ে যেখানে যা বেনিয়ম হচ্ছে এই বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা পেলেই আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জলাশয় ভরাট রোখার ক্ষেত্রে পুলিশ পৃথকভাবে যেমন নজরদারি চালাবে। তেমনই পুলিশ, সাধারণ প্রশাসন ও পুরসভা মিলিয়ে একটি নজরদারি কমিটি থাকবে। এটা আশা করা যাচ্ছে আগামী দিনে জলাশয় বুজিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করা যাবে।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি