প্রসঙ্গত, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে পুরুলিয়া শহরের এই সরকারি কলেজে কর্মরত একজন পার্ট টাইম প্রফেসর তাঁর ভাড়া বাড়িতে টিউশন পড়ানোর নাম করে দ্বিতীয় বর্ষের এক কলেজ ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন। ১৭ বছর বয়সী ওই নাবালিকা ছাত্রী অধ্যাপকের এই কূ-প্রস্তাবে রাজি না হলে, তার উপর নিগ্রহ করেন অভিযুক্ত ওই অধ্যাপক।
আরও পড়ুন : খেলা দেখাচ্ছে নিম্নচাপ, সকাল থেকে বৃষ্টি! সামনে অমাবস্যা, ভয়ে কাঁপছে উপকূল এলাকা
advertisement
এরপর ওই নাবালিকা ছাত্রীর মা পুরুলিয়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত ওই অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়। টানা এক বছর চলে এই মামলা। মঙ্গলবার এই ঘটনার শেষ শুনানি ছিল। পুরুলিয়া জেলা আদালতে স্পেশাল সেকেন্ড কোর্টের বিচারক রানা দাম অভিযুক্তকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার সাজা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগের ঘনঘটা, উত্তরেও সন্ধের পর ঘুরে যাবে খেলা! প্ল্যান থাকলে সকালেই ঘুরে নিন
পাশাপাশি সরকারি ভাবে নির্যাতিতা ওই নাবালিকাকে ৫০-হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এ বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা আদালতের আইনজীবী শুক্লা ঘোষাল বলেন, টানা এক বছর ধরে এই মামলা চলেছে। অবশেষে অভিযুক্ত উপযুক্ত শাস্তি পেয়েছে। বিচারক রানা দাম অভিযুক্তকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকার জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিগত এক বছর আগে নাবালিকা ছাত্রীর উপর অধ্যাপকের এই নিগ্রহের ঘটনায় গর্জে উঠেছিল গোটা পুরুলিয়া। তার বিচারের দাবিতে সরব হয়েছিলেন বহু মানুষ। অবশেষে এক বছর পর বিচার পেল ওই নাবালিকা ছাত্রী। বিচারকের এই দিনের রায়ে খুশি পরিবারের সদস্যরা।