ঘটনাটি ঘটে ওড়িশার জাজপুর এলাকায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের বারাবতী ব্রিজের ওপর থেকে নিচে পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় আহত ও মৃতের বেশিরভাগই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা। এই বাস দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে এগরা ২ নম্বর ব্লকের দুবদা গ্রামের এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির বাড়িতে শোকের ছায়া।
জানা যায় এগরা দু’নম্বর ব্লকের দুবদা গ্রামের বাসিন্দা অচিন্ত্য মাইতি ওই বাস দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। মৃতেরপরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে পুরীর মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। তার পরিবারের কয়েকজন পুরীতে রয়ে গেলেও, ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের বাকি সদস্যরা বাড়ি ফিরছিলেন ওই অভিশপ্ত বাসেই।
advertisement
ঘটনাস্থলেই মারা যান অচিন্ত্য মাইতি। আর তার স্ত্রী গুরুতর জখম অবস্থায় কটকের হাসপাতালে ভর্তি। সঙ্গে থাকা পরিবারের বাকি সদস্যরাও দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে তাঁদের আঘাত গুরুতর নয়।
প্রসঙ্গত দুর্ঘটনার পর থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন তৎপর হয়েছে। নিহতদের দেহ জেলায় ফিরিয়ে আনতে এবং আহতদের জেলায় ফিরিয়ে এনে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে বিশেষ মেডিকেল টিমও গঠন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একমাত্র সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশাপাশি অন্যান্য হাসপাতালগুলি।
এগরা থানা মারফত মৃতের পরিবার প্রথম দুর্ঘটনার খবর পায়। তারপর থেকেই দুশ্চিন্তায় ঘুম ওড়ে পরিবারের বাকি সদস্যদের। পরিবার সূত্রে আরও জানা যায়, প্রশাসন মৃতদেহ ফিরিয়ে এনে পরিবারের হাতে তুলে দিতে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
ওড়িশায় জাজপুরে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় এগরার দুবদা গ্রামে এখন শোকের ছায়া। পুরীর জগন্নাথ দেব দর্শন করতে গিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বাস দুর্ঘটনায় নিহত অচিন্ত্য মাইতির পরিবারের পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা কান্নায় ভেঙে পড়েছে। ওড়িশার জাজপুরে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা ফিরিয়ে এনেছে প্রায় এক বছর আগে করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার স্মৃতি।
Saikat Shee