বাংলার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার গুরুত্ব অপরিসীম। ২০১১ সালের রাজ্য সরকারে পালাবদলের আগের পঞ্চায়েত ভোট অর্থাৎ ২০০৮ সালের ভোটে রাজ্যের ২টি জেলা পরিষদ দখল করেছিল তৃণমূল। তার মধ্যে একটি ছিল পূর্ব মেদিনীপুর। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের জমিও এখানে।
আরও পড়ুন: গণনাকেন্দ্রের মধ্যেই মৃত্যু হাতে নিয়ে রাতভর আরাবুল, ভোরে উদ্ধার! ভাঙড় যেন যুদ্ধক্ষেত্র
advertisement
এই জেলাতেই তৃণমূলের সংগঠন তৈরি করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর সময় বয়েছে, তৃণমূলের দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়ে এখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর জেলাতেও তুমুল লড়াই চলেছে এই পঞ্চায়েত ভোটে।
আরও পড়ুন: তিহাড়ে থাকা অনুব্রত-ম্যাজিক নাকি কাজলের কেরামতি? বীরভূম একমাত্র তৃণমূলেরই
ভোটের দিনে জেলার অধিকাংশ এলাকা জুড়েই দাপট দেখিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। আবার ময়না, পটাশপুর বা খেজুরির মতো ব্লকে ভোটের পর সন্তুষ্ট দেখিয়েছে বিজেপিকে। তৃণমূল অবশ্য দাবি করছে, পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দুর অতীত সাফল্য পুরোটাই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে।
তৃণমূলে থাকাকালীন চারটি পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার অভিজ্ঞতা ছিল শুভেন্দুর। ২০০৩, ২০০৮, ২০১৩ এবং ২০১৮। প্রথমটি বাদে বাকি তিনটিতেই জয় পেয়েছিল তৃণমূল। বিরোধী দলে থাকাকালীন শাসকদল সিপিএমের থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ ছিনিয়ে এনেছিলেন শুভেন্দু। ২০০৮ সালের বাম আমলের শেষ পঞ্চায়েত ভোটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাশাপাশি এই জেলা পরিষদ দখল করেছিল তৃণমূল। সৌজন্যে নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলন। সেই থেকে শুভেন্দুর জেলা বলেও পরিচিত হতে থাকে পূর্ব মেদিনীপুর। তখন জেলা তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী। কিন্তু এবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে ভাল ফল করলেও জেলা পরিষদে পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূল একচ্ছত্র ক্ষমতা দখল করল।