পুলিশ সূত্রে জানা যায় এই গ্যাংয়ের চার জন সদস্য সক্রিয় ছিল। সকলের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ থানা এলাকায়। হুগলিতে বাড়ি ভাড়া করে দুষ্কর্ম করত। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। গত কয়েক দিন ধরে মঙ্গলকোট থানার বিভিন্ন এলাকায় দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তুলতে এসে গ্রাহক টাকা পাচ্ছিলেন না। এটিএমে গিয়ে কার্ড প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেও গ্রাহকদের হাতে টাকা আসছিল না। গ্রাহকদের কাছে অভিযোগ পেয়ে কাশেমনগরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের মঙ্গলকোট থানায় ঘটনার বিবরণ দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রাহক সেজে প্রথমে দুজন এটিএমে ভিতরে গিয়ে টাকা বের হওয়ার পথটি ভেঙে বড় করে দিয়ে আঁঠা জাতীয় কিছু লাগিয়ে দিত। বাকি দুজন এটিএমের কিছুটা দূরে অপেক্ষা করত।সাধারণ গ্রাহক টাকা তুলতে এটিএমে ঢুকলে তাকে সাহায্য করার নামে এটিএমের ভিতরে ঢুকত কিম্বা বাইরে অপেক্ষা করত। এটিএম কার্ডে টাকা তোলার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পর মেশিন থেকে টাকা বের হত না। টাকা মেশিনের ভাঙা অংশে আটকে থাকত।এটিএম থেকে গ্রাহক বেরিয়ে গেলে দুষ্কৃতীরা আঠা খুলে টাকা নিয়ে নিত।
advertisement
আরও পড়ুন - Weather Update: মৌসুমী বায়ু ফিরতে পারছে না, বৃষ্টি একাধিক রাজ্যে, জমিয়ে ঠাকুর দেখার পথে কি বাধা বৃষ্টি
পুলিশ জানাচ্ছে এতে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে বা ব্যাঙ্কের থেকে টাকা যেত না। টাকা যেত এটিএম এজেন্সির অ্যাকাউন্ট থেকে। এই অভিনব চুরির ঘটনার কথা ব্যাঙ্ক ম্যানেজার পুলিশকে জানায়।
আরও পড়ুন - আজ মহাষষ্ঠী , দেবীর বোধন, পঞ্চমীতে সুপারহিট আনন্দে মাতোয়ারা বাংলা
মঙ্গলকোট থানার পুলিশ তদন্তে নেমে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখে দুটি মোটরবাইকে করে চারজন দুষ্কৃতী গ্রাহক সেজে এলাকার বিভিন্ন এটিএমে দিনে কয়েকবার করে ঢুকেছে। মোটরবাইকের নম্বর সংগ্রহ করে তদন্তে সাফল্য মিলেছে। গ্যাংয়ের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুটি মোটরবাইকের নম্বর পুলিশের কাছে এসেছে। সানি রাজবংশীকে গ্রেফতারের পর বাকি দুষ্কৃতীদের পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। জামতাড়া গ্যাংয়ের মতই কারসাজি করে এটিএম থেকে টাকা তুলে নিচ্ছিল এই গ্যাংয়ের সদস্যরা।
Ranadeb Mukherjee