এ ছাড়াও বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলার সদর শহর বর্ধমানে। তবে চায়ের দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর চাউর হয়ে যেতেই বর্ধমান শহরে জোর আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: নমুনা পরীক্ষা কমতেই অনেকটা কমল আক্রান্তের সংখ্যাও! কমল না উদ্বেগ
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বৈঠকের পর জানান, দেখা যাচ্ছে চায়ের দোকানগুলিতে অযথা বাসিন্দারা ভিড় করছেন। সেখানে চা খাওয়ার অছিলায় বেশিরভাগ বাসিন্দাই মাস্কে মুখ না ঢেকে বসে থাকছেন। সেই সব দোকানগুলিতে শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকছে না।
advertisement
সরকারি ও বেসরকারি অফিস গুলিতে এখন পঞ্চাশ শতাংশের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ জারি হয়েছে। ছুটিতে থাকা অনেকেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চায়ের দোকানে আড্ডায় মজে থাকছেন। সেই কারণে চায়ের দোকানের এই মজলিশগুলি থেকে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। সে কথা মাথায় রেখেই টানা সাতদিন এই চায়ের দোকানগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।
আরও পড়ুন: ফেরালো একের পর এক হাসপাতাল, কোভিড রোগীকে নিয়ে ৯ ঘণ্টা হয়রান পুলিশ
বর্ধমান শহরের শুধুমাত্র কোর্ট কম্পাউন্ড এলাকাতেই বেশ কতকগুলি চায়ের দোকানে রয়েছে। এছাড়াও গোলাপবাগ মোড়, উল্লাস, নবাবহাট, নীলপুর, মেহেদিবাগান, বড়বাজারেও বেশ কয়েকটি চায়ের ঠেক রয়েছে। সেইসব দোকানগুলিতে ইদানিং ভিড় আরও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সেই ভিড় কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি প্রশাসনের সময় উপযোগী পদক্ষেপ। এতে চায়ের দোকানের সঙ্গে যুক্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কয়েকদিন রোজগার হারাবেন ঠিকই কিন্তু এই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। কারণ, চায়ের দোকানে অনেকেই একসঙ্গে জমায়েত হচ্ছেন। কারও মুখে মাস্ক থাকছে না। তার ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে। খাবারের দোকানগুলিতেও একসঙ্গে অনেকে পাশাপাশি বসে খাবার খান। তাই সেগুলি বন্ধ রাখার যথাযথ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।