তিনি ঘটনার কথা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। বিশ্বজিৎবাবু জানান, গত ১২ নভেম্বর স্কুলে এক ব্যক্তি আসে। তিনি একজনকে ভর্তি নেওয়ার কথা বলেন।
advertisement
নিয়ম মেনে ফর্ম বিতরণ ও ভর্তি প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি বলে তাঁকে জানানো হয়। ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হলে তাতে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি সেসব নিয়মনীতির বাইরে ভর্তি নেওয়ার জন্য নাছোড়বান্দা হয়ে ওঠেন।
তখন ওই ব্যক্তিকে প্রধান শিক্ষক জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকারের নিয়মের বাইরে গিয়ে ছাত্র ভর্তি করা সম্ভব নয়। এর জেরে ওই ব্যক্তি ফোন করে মেরে লাশ ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয়। এমনকি বিশ্বজিৎবাবুর অনুপস্থিতিতে তাঁর বাড়িতেও যায় ওই অপরিচিত ব্যক্তি। সেখানে গিয়ে বিশ্বজিৎবাবুর স্ত্রী মৌসুমী পালকেও হুমকি দেয়। বিশ্বজিৎবাবু জানান, তাঁর স্ত্রীকে গিয়ে ওই ব্যক্তি শাসিয়েছে ছাত্রটিকে ভর্তি না করালে স্বামীর লাশ ফেলে দেবে।
ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছেন বিশ্বজিৎবাবু। ঘটনার জেরে তিনি অসুস্থও হয়ে পড়েন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছেন। তিনি বলেন, "আতঙ্কে রয়েছি। নিয়ম বহির্ভূতভাবে ছাত্র ভর্তি না করানোয় কেউ যে এইভাবে মেরে ফেলার হুমকি দিতে পারে ভাবতেই পারছি না। আমার বাড়িতে গিয়ে আমার স্ত্রীকেও হুমকি দিচ্ছে। মোবাইল নম্বর সহ পুলিশকে অভাযোগ জানিয়েছি। আশা করি পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।"