এলাকা ধরে ধরে তাদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান, আমরা ইতিমধ্যেই শ্রমিকরা কে কোন কাজে যুক্ত ছিলেন তার তালিকা তৈরি করেছি। সেই তালিকা ধরে ধরেই ব্লক ভিত্তিক কাজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আবার বেশ কিছু শ্রমিক রয়েছেন যাঁরা কোনও বিশেষ কাজের সঙ্গে সেভাবে যুক্ত ছিলেন না। তাঁদের কাজের সুযোগ করে দিতে তাঁদের একশো দিনের কাজ প্রকল্পের জব কার্ড দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৪ হাজার পরিযায়ী শ্রমিককে জব কার্ড দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এই জেলায়।
advertisement
প্রশাসনের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় ২৩ হাজার ৭০০ জন পরিযায়ী শ্রমিক এসেছেন। জেলা প্রশাসন দেখেছে, মূলত জেলার ৭টি ব্লকে পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেইমতো ভাতার ব্লকে সেলাই ও লেদারের সামগ্রী তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মন্তেশ্বর, খণ্ডঘোষ, মঙ্গলকোট ও মেমারি ২ ব্লকে জেমস জুয়েলারির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কাটোয়া এক ও পূর্বস্থলী দুই ব্লকে দেওয়া হবে সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বাইরের রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের দ্রুত কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে শ্রমিকরা যাতে কাজ না পেয়ে ফের অন্য রাজ্যে পাড়ি না দেন তা নিশ্চিত করতেই তাদের স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী কাজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ব্লকে ব্লকে যেসব কর্মতীর্থ সেন্টার রয়েছে সেগুলিতেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেই প্রশিক্ষণ নিয়ে শ্রমিকরা স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারবেন। এ রাজ্যেও জেমস জুয়েলারি বা সেলাইয়ের কাজের ভাল চাহিদা রয়েছে। চর্মশিল্পের জন্য দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে। তাই প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর কাজের অভাব হবে না বলেই মনে করছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। তাঁরা বলেন, আধুনিক জুয়েলারি বা লেদার শিল্পের কাজ কোথায় মিলতে পারে তা প্রশিক্ষকরা শ্রমিকদের জানিয়ে দেবেন।
Saradindu Ghosh