হাওড়া শহরে পুজোর কয়েকটা দিন প্রতিমা ও মণ্ডপ দর্শনে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থী শহরে এসে জড়ো হয়. যদিও এখনই হাওড়ার মণ্ডপ গুলিতে সেভাবে দর্শনার্থী ভিড় ছবি’র দেখা নেই। কলকাতায় মহালয়া অর্থাৎ দেবী পক্ষের সূচনা থেকেই উল্লেখযোগ্য মণ্ডপ গুলিতে উৎসাহিত মানুষের দারুন ভিড় লক্ষ্য করা যায়। তবে এবার গ্রিন লাইন মেট্রো পরিষেবা শুরু হওয়ায় হাওড়ার মণ্ডপ দর্শনের আগেই কলকাতা মণ্ডপ মুখী দর্শনার্থীর বড় অংশ মেট্রো পথকেই বেছে নিচ্ছে।
advertisement
হাওড়ার মণ্ডপ গুলিতে তৃতীয়-চতুর্থী থেকে মানুষ প্রতিমা দর্শনে বের হলেও পঞ্চমী থেকে ভিড় বাড়ে। দুপুরের পর থেকেই শহরের বড় মণ্ডপ লাগোয়া রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়. বিকেল পার হতে হতেই ভিড় আরও বেড়ে যায়। সেই দিক গুরুত্ব রেখে বিগত বছরের ন্যায় এবছরও পুলিশের পক্ষ থেকে যানজট কমাতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে. দুপুরে দুটোর পর থেকে টোটো বন্ধ থাকছে. যতক্ষণ রাস্তায় মানুষের ভিড় থাকবে ততক্ষণ রাস্তায় টোটো বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতি বার সকাল ৫.৩০ থেকে পণ্যবাহী যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে. থেকেই যান নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়েছে। রাস্তা’য় মানুষের ভিড় বা সমাগম মত যানজট নিয়ন্ত্রন করা হবে। পুজোর দিন গুলিতে দুপুর দুটো থেকে ই-রিকশা টোটো বন্ধ থাকার নির্দেশিকা। তবে রেসিডেন্সি মানুষের যাতে অসুবিধা না হয়, সেই দিক গুরুত্ব থাকছে।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ কমশিনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী জানান, যানজট নিয়ন্ত্রনে রেল অথরিটি এবং মেট্রোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। থাকছে কন্ট্রোল রুম যেখানে ডায়াল ১০০ ও ১১২ নম্বর থাকছে সিভিল ডিফেন্সের টিম।
এছাড়াও হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে ডিজিটাল পুজো ম্যাপ প্রকাশ করা হয়েছে. প্লে-স্টোর থেকে ‘হাওড়া সিটি পুলিশ দুর্গাপুজো’ অ্যাপ। এই অ্যাপ এর মাধ্যমে শহরের উল্লেখযোগ্য পুজো গুলিতে রোড ডিটেলস। এছাড়াও এই অ্যাপের মাধ্যমে সংলগ্ন পুলিশ থানা বা পুলিশ বুথ।