আরও পড়ুন: বাবার মৃত্যুর পর একাই খাড়ির মিউজিয়াম সামলাচ্ছেন ছেলে
সংস্কৃত ‘পট্ট’ শব্দ থেকে পট কথাটি এসেছে। ‘পট্ট’ শব্দের অর্থ কাপড়। পটচিত্র হচ্ছে একখণ্ড কাপড়ের উপর হিন্দু দেবদেবী কিংবা মুসলিম পীর-ফকিরদের বিচিত্র কাহিনী-সম্বলিত চিত্র। এই পটচিত্রের শিল্পীদেরই বলা হয় পটুয়া। পটুয়ারা সঙ্গীত সহযোগে পটচিত্র দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। তারা গানের সুরে দর্শক ও শ্রোতাদের পটচিত্রের আখ্যানভাগ বুঝিযে় দেয়। কাপড়ের উপর পট আঁকার রীতি ছিল প্রাচীন কালেও। তা থেকেই সাধারণভাবে কাপড়ে বা অন্য স্থানে আঁকা সব ছবিকেই পট বলার রীতি প্রচলিত হয়। যারা ছবি আঁকত তাদের বলা হত পটুয়া। এভাবেই পট ও পটুয়া কথার সঙ্গে পরিচিত হয়েছে বাংলার মানুষ।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
মূলত এই বার্ষিক অনুষ্ঠানে জয়নগরের শ্রীকৃষ্ণ অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় এ বছর মূল আকর্ষণ ছিল পটের গান বাংলার হারিয়ে যাওয়া সেই লোকশিল্প। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিজেরা পট এঁকে তারপর নিজেরাই গেয়ে শোনায় পটের পালাগান। আগামী প্রজন্মকে দিয়ে পুরনোকে বয়ে নিয়ে নতুনের পথচলা এই অভিনব উদ্যোগ মুগ্ধ করেছে সবাইকে।
সুমন সাহা