ছোট ফুচকা যেখানে ১০ টাকায় ৪ টি পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে একটি বড় ফুচকার দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা। যদি চাটনি বা দই ফুচকা হয় তাহলে তার দাম প্রায় ১০০ টাকা পড়বে। তাই অনেকের সাধ থাকলেও সাধ্যের মধ্যে কুলোয় না। আবার অনেকে মনে করছেন একার পক্ষে এত বড় ফুচকা খাওয়া অসম্ভব, বন্ধু বান্ধব বা পরিবারের সকলে মিলে খেলে তখন খাওয়া যেতে পারে বড় ফুচকা।
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ‘জাতীয়’ পশু কী বলুন তো…? ‘নাম’ শুনলে এখনই চমকাবেন, শিওর!
দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে চার্চের পিছনে ফুচকার ব্যবসা করতেন রবিন ঢালী। ২০১৮ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর এখন তার সেই ব্যবসা সামলাচ্ছেন তার একমাত্র পুত্র রাজা। পিছিয়ে নেই তার মা রেখা , তিনিও ছেলের পাশেই বসেই ফুচকার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের পড়া শেষ করে ব্যবসায় নেমে করতে হয় তাকে। একসময় তার বাবা এই বড় ফুচকা বানাতেন, এখন সেই ধারাই বজায় রেখেছে তাঁর ছেলে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে তাঁর ব্যবসা। এখন বছরের শেষে মানুষজন বেশি ঘুরতে আসছেন, তাই বিকিকিনি হচ্ছে ভালই, খোলা থাকছে রাত পর্যন্ত।
রাজা বলেন, ‘বাবা বড় ফুচকা তৈরি করতেন। এখন আমিই তৈরি করি। যদিও ব্যান্ডেলে অন্য কারও কাছে পাওয়া যায় বলে আমার মনে হয় না। তবে এই বড় ফুচকা খাওয়ার জন্য বাইরে থেকে অনেক লোক আসে। একটা বড় ফুচকার দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কারণ বড় ফুচকার ভেতরের খোলটা অনেক বড় সেখানে আলু সহ বিভিন্ন জিনিস দিয়ে ভরাট করতে হয়, আবার কেউ যদি দই ফুচকা খায় তাতে অনেক রকমের মসলা দিতে হয় সে কারণেই দামটা অনেক বেশি পরে। প্রতিদিন বিক্রি হয় চার থেকে পাঁচ হাজার ফুচকা।’
ফুচকা খেতে আসার সৃজনী বসু, রিমা সাহা, দুর্গা সাহারা জানান, ‘আগে কোনদিনও দেখিনি এত বড় ফুচকা। লুচির মতো দেখতে। মনে হচ্ছে যেন খাস্তা কচুরি। সবাই একসঙ্গে এসেছি তাই খেতে পারিনি, অন্য সময় এসে খেয়ে যাব। তবে এখানকার ছোট ফুচকার স্বাদও বেশ ভাল। দশ বছর আগে এই রকমই বড় ফুচকা দেখে গিয়েছিলাম আবার এখন এসেও সেই একই ফুচকা দেখেছি। আমি যতবারই আসি ব্যান্ডেল চার্চে, ততবারই এই দোকানে এসে ফুচকা খাই।’