TRENDING:

West Medinipur News: তাঁর হাতে বোনা মাদুর বিক্রি হয় হাজার হাজার টাকায়! রাষ্ট্রপতির থেকে পুরস্কার নেওয়া পুষ্পরানি কেমন আছেন?

Last Updated:

তাঁর হাতের জাদু একসময় মাদুরের উপর ফুটিয়ে তুলত অসামান্য সব শিল্পকর্ম। যা দেখে মুগ্ধ হয়ে যেতে সবাই। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং-এর সারতা গ্রামের বাসিন্দা পুষ্পরানি জানা দু'হাতেই একসময় করেছেন কামাল

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর: বয়স প্রায় সত্তর। বয়সের ভার চোখে-মুখে স্পষ্ট। কিন্তু সেদিনের স্মৃতি আজও চোখের সামনে ভাসে পুষ্পরানি জানা’র। রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার মুহূর্ত কোনদিনই যে ভোলার নয়। সবংয়ের নাম না জানা গ্রাম সারতায় বসবাস এই বৃদ্ধার। তিনি দক্ষ মাদুর শিল্পী। সেই শিল্পকর্মের জন্যই বছর চল্লিশ আগে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পান। কিন্তু এখন কেমন আছেন পুষ্পরানি?
advertisement

তাঁর হাতের জাদু একসময় মাদুরের উপর ফুটিয়ে তুলত অসামান্য সব শিল্পকর্ম। যা দেখে মুগ্ধ হয়ে যেতে সবাই। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং-এর সারতা গ্রামের বাসিন্দা পুষ্পরানি জানা দু’হাতেই একসময় করেছেন কামাল। জেলা ছাড়িয়ে রাজ্য, রাজ্য ছাড়িয়ে দেশের মানুষের কাছে উজ্জ্বল করেছেন গ্রামের নাম, গ্রামের মাদুর শিল্পের নাম। মসলন্দ মাদুর বুনে পেয়েছেন এই স্বীকৃতি। ১৯৮০ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি নিলম সঞ্জীব রেড্ডির হাত থেকে পান রাষ্ট্রপতি পুরস্কার।

advertisement

আরও পড়ুন: একেই বলে ভাগ্যের খেলা! সংসার চালাতে আখের রস বিক্রি করছেন চিকিৎসক

বাবার বাড়িতে দড়ির মাদুর বোনা হলেও বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে এসে শিখেছেন মসলন্দ মাদুর বোনা। দশটি হাত না থাকলেও হাতের দশ আঙুল যেন কথা বলত। তাঁর হাতে বোনা মাদুর আজ বিশ্ব ক্ষেত্রে সমাদৃত। তিন মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে সংসার। তিন মেয়ে উমা, সীমা ও টিয়া আজ মাদুর শিল্পী। দুই ছেলে প্রদীপ ও সুদীপও জানে মাদুরের কাজ। স্বামী অভিরাম জানা আজ আর নেই। তিনিও একজন প্রতিষ্ঠিত মাদুর শিল্পী ছিলেন। স্বামীর থেকেই শিখেছেন মাদুরের কাজ। পেয়েছেন একাধিক সম্মান। যখন মানুষের কাছে মেদিনীপুর যাওয়াও একটা বড় চিন্তার ছিল, তখনই তিনি দিল্লি গিয়ে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে এনেছেন পুরস্কার। এখনও সযত্নে গুছিয়ে রেখেছেন তাঁর প্রাপ্তিগুলো।

advertisement

View More

বয়সের ভারে এখন আর নিয়মিত মাদুর বুনতে পারেন না পুষ্পরানি। তবে শরীর সঙ্গ দিলে এখনও শুরু করে দেন কাজ। তাঁর হাতে বোনা মাদুরের আজও ব্যাপক চাহিদা আছে। তা হাজার হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুজো শেষ হতেই ঝাঁকে ঝাঁকে পদ্মার ইলিশ! জলের দরে টাটকা মাছ না খেলেই নয়
আরও দেখুন

রঞ্জন চন্দ

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
West Medinipur News: তাঁর হাতে বোনা মাদুর বিক্রি হয় হাজার হাজার টাকায়! রাষ্ট্রপতির থেকে পুরস্কার নেওয়া পুষ্পরানি কেমন আছেন?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল