খেজুর গাছ থেকে খেজুর রস সংগ্রহ করার হয়। তারপর সেই খেজুর রসকে বড় আগুনের উনুনে দীর্ঘক্ষণ ফোটালে তা খেজুর গুড় বা নলেন গুড় হয়ে যায়। শীত যত পড়ে খেজুর রসও তত বেশি পাওয়া যায় এবং নলেন গুড় বেশি পরিমাণে উৎপাদন করতে পারে উৎপাদনকারীরা। বাঁকুড়া জেলার জয়পুর থানার যাদবনগর এলাকা থেকে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে জঙ্গলমহলে আসছেন নলেন গুড় তৈরি করার জন্য মুজিব কোটাল ও তার সঙ্গী সাথিরা । জামবনি থানার অন্তর্গত চিল্কীগড় মন্দির সংলগ্ন এবং জামবনি গ্রাম সংলগ্ন প্রায় ২০০টির বেশি খেজুর গাছ লিজে নিয়েছেন তারা। খেজুর গাছগুলির ডালপালা পরিষ্কার করে এখন থেকেই খেজুর রস উৎপাদনের জন্য উপযোগী তৈরি করা হচ্ছে। দুর্গাপুজোর পরে শীতের আগমন হলেই শুরু হয়ে যাবে নলেন গুড় তৈরির কাজ।
advertisement
আরও পড়ুন : দক্ষিণে ছুটতে হবে না! ঘরের কাছেই কফি চাষ! স্বাদও নিন অনায়াসে, কোথায় গেলে পাবেন
মুজিব কোটাল বলেন, “এখন থেকে খেজুর গাছগুলিকে পরিষ্কার করে রাখা হচ্ছে। দুর্গাপুজো পেরোলেই শীত শুরু হলেই গাছগুলি থেকে খেজুর রস বের হতে শুরু করবে। তারপরে আমরা তা দিয়ে নলেন গুড় এবং পাটালি গুড় তৈরি করব। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে জামবনির এই এলাকায় আমরা আসছি। এলাকার মানুষের পাশাপাশি পর্যটকরা প্রচুর পরিমাণে এই গুড় কিনে নিয়ে যায়”।
আরও পড়ুন : ভার্চুয়াল মাধ্যমে ঝাড়গ্রাম জেলার সেরা ১৫ টি পুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী
নলেন গুড়ের স্বাদ আর পাঁচটা গুড়ের থেকে একেবারে আলাদা। কিন্তু এই গুড় সারা বছর তেমন একটা তৈরি করা যায় না। তার কারণ গুড় তৈরির মুখ্য উপাদান খেজুর রস কেবলমাত্র শীতের সময় পাওয়া যায়। তাই আর কিছুদিন পরেই নলেন গুড় পেতে চলেছে জঙ্গলমহলে বেড়াতে আসার পর্যটকরা।
বুদ্ধদেব বেরা